রুশ অগ্রাসন মোকাবিলায় শক্তিশালী পদক্ষেপ নিচ্ছে ন্যাটো


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


রুশ অগ্রাসন মোকাবিলায় শক্তিশালী পদক্ষেপ নিচ্ছে ন্যাটো

রোমানিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ও ন্যাটোর উপ-মহাসচিব মিরসিয়া জিওনা জানিয়েছেন, রাশিয়ার অগ্রাসন মোকাবিলায় পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েতে কোন বাঁধা নেই। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইকের বরাত এই ঘোষণার কথা জানা গেছে।

সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপি’র দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ন্যাটোর অবস্থান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর এমপিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এই সাক্ষাৎকার দেন। ন্যাটোর পার্লামেন্টারি সমাবেশের বসন্তকালীন অধিবেশনে যোগ দিতেই সদস্যভুক্ত দেশগুলোর এমপিরা হাজির হন।

রাশিয়া ও ন্যাটো ১৯৯৭ সালে ফাউন্ডিং অ্যাক্ট নামের চুক্তিতে সম্মত হয়। এতে পূর্ব ও মধ্য ইউরোপীয় অঞ্চলসহ ইউরোপে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন না করার কথা বলা হয়েছিল।

রোমানিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট এএফপিকে বলেছেন, “ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া এই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া জোটের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপে না বসাও রাশিয়ার দিক থেকে চুক্তিটির লঙ্ঘন।”

তিনি বলেন, “রাশিয়া নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিবেশীদের ওপর আগ্রাসী না হওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল, কিন্তু এখন তারা তা মানছে না। এছাড়া ন্যাটোর সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শও তারা করছে না।”

তিনি আরও বলেন, “এই প্রেক্ষিতে পূর্বাঞ্চলে এখন ব্যাপক আকারে সেনা মোতায়েনে আমাদের কোনও বিধিনিষেধ নাই। যাতে করে ন্যাটো ও মিত্র ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি আর্টিক্যাল-৫ দ্বারা সুরক্ষিত করা যায়। ন্যাটো সমঝোতার আর্টিক্যাল-৫ অনুসারে, কোনো সদস্য রাষ্ট্র যদি আক্রমণের শিকার হয়, তাহলে তা সব সদস্যের ওপর হামলা এবং জোটের সব সদস্যকে অবশ্যই সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে “

যদিও পূর্ব ইউরোপে জোটটির সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনার বিস্তারিত জানাননি জিওনা। তবে তিনি বলেছেন, “এই সেনা মোতায়েন হবে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর ব্যাপক ও টেকসই উপস্থিতি।”

ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ঐতিহাসিক এই সামরিক জোটের বহির্ভূত দেশ। এই মে মাসেই তারা জোটের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছে। দেশ দুটি ন্যাটো জোটে আবেদনের তিন দিন পর ২১ মে রাশিয়া প্রতিবেশী ফিনল্যান্ডে গ্যাস রফতানি বন্ধ করে দেয়।

রাশিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক পাল্টা পদক্ষেপের হুমকির পরও জোটে যোগদানে অটল দেশ দুটি।

এদিকে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য জোটের ৩০ সদস্য রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তুরস্ক জানিয়েছে, তারা দেশ দুটির জোটে যোগদানকে সমর্থন করবে না। আর রাশিয়া তো আগে থেকে এর বিরুদ্ধে।

এসএ/