প্রতিটি মসজিদে শিব লিঙ্গ খোঁজা অর্থহীন: হিন্দু নেতা মোহন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রতিটি মসজিদে শিব লিঙ্গ খোঁজা অর্থহীন: হিন্দু নেতা মোহন

সমগ্র ভারত জুড়ে বর্তমানে মন্দির মসজিদ নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষত জ্ঞানবাপী মসজিদ ইস‍্যু সম্প্রতি দেশের অন‍্যতম প্রধান আলোচ‍্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদে শিব লিঙ্গ পাওয়ার ঘটনায় উত্তাল রয়েছে গোটা ভারত আর এর মধ‍্যেই যখন কুতুব মিনার কিংবা তাজমহলের রহস‍্য উন্মোচনের দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ছে। সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সকল বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে পারস্পরিক বোঝা পড়ার ডাক দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। 

উল্লেখ্য, ভারতের উত্তরপ্রদেশে জ্ঞানবাপী মসজিদ পূর্বে হিন্দুদের দেবদেবীদের মন্দির ছিল এবং বর্তমানে ও যে সেখানে এ সকলের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যাবে, সেই সম্পর্কে দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করে হিন্দু সংগঠনগুলি। এরপরেই উক্ত স্থানে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে অবশেষে একটি কুয়োর ভিতর থেকে শিব লিঙ্গের হদিশ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ওঠে এবং  মুহূর্তের মধ‍্যেই এই ঘটনার রেশ গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে তাজমহল, কুতুব মিনার থেকে একাধিক ধর্মীয় স্থানকে কেন্দ্র করে বিতর্ক জন্ম নেয় আর এ সকল প্রসঙ্গের মাঝে যখন ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে পরিস্থিতি, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে উল্টো সুর দেখা গেল আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের গলায়। 

শুক্রবার ভারতের নাগপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করে মোহন ভাগবত বলেন, ‍“দেশে এমন কিছু জায়গায় রয়েছে, যেখানে আমাদের বিশেষ ভক্তি জুড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু তা বলে প্রতিদিন নিত‍্য নতুন ঘটনা খুঁজে বার করার কোন প্রয়োজন নেই। এগুলো বিতর্ক আরো বাড়িয়ে তোলে। জ্ঞান বাপী মসজিদ এর ক্ষেত্রে মানুষের মধ‍্যে যে ভক্তি কাজ করেছে তা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই। কিন্তু সেই কারণে দেশের অন‍্যান‍্য মষজিদগুলিতে শিবলিঙ্গ খুঁজতে হবে, তার কোনো মানে হয় না।” 

এছাড়াও তিনি বলেন, “জ্ঞানবাপী মসজিদে সম্প্রতি শিবশিঙ্গ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে এই নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। কিন্তু তা বলে আমরা কখনওই ইতিহাসকে পুরোপুরি ভাবে বদলে দিতে পারিনা। বর্তমান যুগে হিন্দু কিংবা মুসলমানরা এই সকল জিনিস তৈরি করেনি। এসব ঘটনায় ঘটে দিল অতীতে মুসলিমদের দ্বারা আমাদের দেশক আক্রমণ করার সময় কালে। ফলে প্রতিটি মসজিদে নতুন করে শিবলিঙ্গ খোঁড়ার কোন মানে হয় না। তাছাড়া হিন্দু এবং মুসলিমদের পূর্জাচনা ভিন্ন ধরনের হলেও এটা মনে রাখতে হবে যে, মুসলিমদের পূর্ব পুরুষেরা আমাদের ঋষি মুনিদেরই বংশধর ছিলেন।”

এসএ/