যুক্তরাষ্ট্রে জনসমাগমে বন্দুক হামলা, নিহত ৩
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বন্দুকধারীদের হামলাতে জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্র। প্রায়ই শোনা যায় স্কুলসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে গোলাগুলি। তিন সপ্তাহের মধ্যেই দুটি স্কুল, একটি হাসপাতাল, একটি গির্জার পরে এবার ভিড়ের মধ্যে গুলি চালালো বন্দুকধারীরা। এবার দেশটির পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় জনসমাগমে বন্দুকধারীদের গুলিতে ৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
শনিবার (৪ জুন) বার্তাসংস্থা নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, শনিবার গভীর রাতে ফিলাডেলফিয়ায় বন্দুক হামলায় তিন জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। মধ্যরাতের কিছু আগে অঙ্গরাজ্যের থার্ড স্ট্রিটের কাছে শহরের কোলাহলপূর্ণ সাউথ স্ট্রিট এলাকায় গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সি এক নারী এবং ২২ বছর বয়সি এক পুরুষ রয়েছেন। অপর নিহতের বয়স বা পরিচয় জানায়নি পুলিশ। এ ছাড়া আহতদের ফিলাডেলফিয়ার থমাস জেফারসন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) ডি এফ পেস বলেন, “টহল কর্মকর্তারা অসংখ্য গুলির শব্দ শুনতে পান এবং এলাকায় ছুটে যান। যেখানে তারা বেশ কিছু সক্রিয় শুটারকে ভিড়ের মধ্যে গুলি চালাতে দেখেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা এক বন্দুকধারীকে গুলি করেছেন। তবে, তাকে আঘাত করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।”
ফিলাডেলফিয়া-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনকোয়ারার জানিয়েছে, অন্তত একজন হামলাকারী তার বন্দুক ফেলে গেছে, যেটিতে গুলিতে ভর্তি ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক উদ্ধার করেছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা ও এতে প্রাণহানির ঘটনা কিছুতেই থামছে না। এর আগে দেশটির আইওয়া অঙ্গরাজ্যের একটি গির্জায় বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ জন নিহত হয়। আহত হয় আরো অনেকে। তার পূর্বে ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের একটি মেডিকেল সেন্টারে বন্দুকধারীর গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। আহত হয়েছিলেন আরো অনেকে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩১ মে) লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরে একটি হাইস্কুলের স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গুলির ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ১ নারী নিহত ও ২ জন আহত হয়। গত ২৪ মে টেক্সাসের উভালদে এলাকায় একটি এলিমেন্টারি একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় ২১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ১৮ জনই শিশু। যুক্তরাষ্ট্রে গত ১০ বছরের মধ্যে স্কুলে সংঘটিত এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য মতে, ২০২০ সালে দেশটিতে ১৯ হাজার ৩৫০টি বন্দুকহামলার ঘটনা ঘটেছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
এসএ/