টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তাকে নিয়ে বৃট্রিশ হাউজ অব কমন্সে টরীতে ভোটা ও হয়েছে। অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কি না, সে বিষয়ে সোমবার (৬ জুন) ভোট দেন তার দল কনজারভেটিভ-এর সংসদ সদস্যরা। এতে বরিস জনসনের পক্ষে ২১১টি ভোট ও বিপক্ষে ১৪৮টি ভোট পড়ে। ফলে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদেই থাকছেন তিনি।
এদিন হাউজ অব কমন্সে টরী দলের মোট ৩৫৯ জন এমপি অনাস্থা ভোটে অংশ নেয়। নিজ দলের ৫৯ শতাংশ এমপির সমর্থন পেয়েছেন বরিস জনসন। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্রাডি ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি, প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রয়েছে পার্লামেন্টারি দলের।’
বিগত ৪০ বছরের ইতিহাসে কনসারভেটিভ দলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েও, নির্বাচিত হওয়ার আড়াই বছরের মাথায় নো-কনফিডেন্স ভোটের মুখোমুখি হয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। নিজ দলের এমপিদের ভোটে জয় পেলেও ৪১ শতাংশ দলীয় এমপি বরিসের বিরোধীতা করে ভোট দিয়েছেন।
করোনায় লকডাউনের বিধি ভেঙে মদের পার্টি আয়োজনের কেলেঙ্কারির জেরেই দলের ভেতর নেতৃত্ব নিয়ে এ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন জনসন। সম্প্রতি সু গ্রে'র পার্টি গেইট কেলেঙ্কারির প্রতিবেদনের পর নিজ দলের এমপিরা বরিসের লিডারশিপ চ্যালেঞ্জ করে নো কনফিডেন্স ভোটের আবেদন করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অনাস্থা ভোটে জয় পেলেও সামনের দিনগুলোতে বরিসের পথ মসৃণ হবে না, বরং নিজ দলের সদস্যদের ভেতরে বিদ্রোহের ইঙ্গিত এই ফলাফল।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর নো কনফিডেন্স ভোটে জয় পেলেও দুই বছরের মাথায় নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে নো কনফিডেন্স ভোটে ৬৩ শতাংশ টরী এমপিদের সমর্থন পেয়ে জয়লাভ করা থেতেরা মে কে ছয় মাসের মাথায় ব্রেক্সিট ইস্যুতে পদত্যাগ করতে হয়েছিলো।
এসএ/