তরুণীকে ধর্ষণ, ধর্ষকদের গণপিটুনির পর আগুনে দিল গ্রামবাসী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মায়ের সাথে কাজে যাচ্ছিল মেয়ে। গুমলা এলাকায় পৌঁছালে তাদের পথ আটকান সুনীল এবং আশিস। পর তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের অভিযোগে ঐ দুই যুবককে গণপিটুনির পর তাদের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এতে এক যুবক মারা গেছেন এবং অপরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বুধবার (৮ জুন) রাতে ভারতের ঝাড়খণ্ডের সদর থানার গুমলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গুমলার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ কর্মকর্তা (এসডিপিও) মনীশ চন্দ্র লাল বলেছেন, “আহত যুবক রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে (আরআইএমএস) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”
দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “বুধবার ওই দুই যুবক এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। মেয়েটির পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্য গ্রামবাসীরা এই ঘটনা জানার পর পাশের এক গ্রাম থেকে অভিযুক্তদের ধরেন। পরে তাদের ভুক্তভোগীর গ্রামে নিয়ে এসে গণপিটুনি দেওয়ার পর তাদের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।”
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “গণপিটুনি এবং আগুনে আহত একজন মারা গেছেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক; তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযুক্ত দুজনের মোটরসাইকেলও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা ঝাড়খণ্ডের সদর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে। মেয়েটির পরীক্ষার জন্য মেডিক্যালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মনীশ চন্দ্র লাল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ওই এলাকায় পুলিশের একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে।”
পুলিশের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, মায়ের সাথে কাজে যাচ্ছিল মেয়ে। গুমলা এলাকায় পৌঁছালে তাদের পথ আটকান সুনীল এবং আশিস। পর তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা। দুই অভিযুক্তের মধ্যে সুনীল ওঁরাও নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য অভিযুক্ত আশিস কুমার মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে, মায়ের সঙ্গে কাজের জন্য বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী।
এসএ/