উ. কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে চোয়ি সন-হুইকে নিয়োগ নিয়োগ দিল দেশটির সরকার। কট্টরপন্থী সাবেক সামরিক কর্মকর্তা রি সন জিউনের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
শনিবার (১০ জুন) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত এ খবর জানিয়েছে এএফপি।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ‘নেতা কিম জং উনের তত্ত্বাবধানে ক্ষমতাসীন দলের এক বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দিতে চোয়ি সন-হুইকে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি এর আগে দেশটির সহ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।’
ইংরেজি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারদর্শী পেশাদার কূটনীতিক চোয়ি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা চলাকালে কিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গী ছিলেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত এ দুই নেতার বৈঠক কোনো চুক্তি ছাড়াই ভেঙ্গে যাওয়ার রাতে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বিরল প্রশ্নোত্তরের আয়োজন করে ওই ব্যর্থ আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করেন।
চোয়ি সন-হুই বলেন, “আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে সুবর্ণ সুযোগ হারিয়েছে।”
আর তখন থেকে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কিমের সরকার আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের ব্যাপারে কোনো সাড়া দেয়নি।
এদিকে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা গত মঙ্গলবারও বলেছে যে, উত্তর কোরিয়া ‘তাদের পারমাণবিক পরীক্ষার স্থাপনা প্রস্তুত করছে।’
পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচির আশেপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, ‘বিষয়টা যথেষ্ট উদ্বেগজনক, কারণ আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে একটা দ্রুত অগ্রগামীতা লক্ষ্য করছি। ’
উত্তর কোরিয়া শুধুমাত্র এই বছরেই ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, যার মধ্যে দুটি সফল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও রয়েছে।
পিয়ংইয়ংয়ের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার প্রতি শক্তি প্রদর্শন করেছে, কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিমে সাগরের ওপর উড়েছে ২০টি যুদ্ধবিমান।
এসএ/