মহাকাশের সবচেয়ে বড় ছবি পাওয়া গেল
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা) হাবল স্পেস টেলিস্কোপটি ১৯৯০ সালে লঞ্চ করেছিল। হাবল একটি টেলিস্কোপ যেটি বিখ্যাত আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডউইন হাবলের সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে। এবার মহাকাশের সবচেয়ে বড় ছবি, যেটি তুলতে এই স্পেস টেলিস্কোপের দুইশো পঞ্চাশ ঘন্টা লেগেছে সেটি পৃথিবীতে পাঠালো এই মহাকাশ যানটি। বাংলাদেশি জ্যোর্তিরপদার্থবিদ লামিয়া মওলা গণমাধ্যমের কাছে পৌঁছালেন ছবিটি।
তিনি জানান, “আকাশের তারার উৎপত্তিস্থল জানা যাবে এই ছবিতে। সেই সঙ্গে আরও জানা যাবে প্রথম দিকের গ্যালাক্সিগুলোর গঠন রূপও। ছবিটি তোলার জন্য প্রয়োজন ছিলো কমপক্ষে দুই হাজার ঘন্টা। তবে থ্রি-ডি ড্যাশ প্রযুক্তি সময় কমিয়ে ছবিটি তুলে দিয়েছে মাত্র ২৫০ ঘন্টায়। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাজার হাজার ছায়পথ। এক টুকরো আকাশে এতো বিশাল পরিধি নিয়ে ছায়াপথের এই ছবি এতদিন কেউ দেখেনি।”
১৯৯০সালে উৎক্ষেপনের পর এই ছবি তুলে রীতিমত রের্কড করেছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। গেল ৬ জুন এই বিরল ছবিগুলো বাংলাদেশি গণমাধ্যমের কাছে তুলে দেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী লামীয়া মাওলা। ছবিটি তুলতে নেতৃত্ব দেয়া দলেরও একজন সদস্য তিনি।
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ পৃথিবী থেকে ৫৭০ কিলো মিটার উপরে থেকে প্রতি ৯০ মিনিটে একবার প্রদক্ষিণ করে। ছবিগুলো তারাদের খবর উৎসের খবর বলবে। বলবে গ্যালাক্সি কিভাবে গড়ে ওঠে।
২০১৫ সালে এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিলেন কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো লামিয়া মওলা। জানান, মহাকাশের এই ছবিটি গবেষণার নতুন দিগন্তের সন্ধান দেবে।
উল্লেখ্য, ‘টেলিস্কোপটি একটি মহাকাশ-ভিত্তিক মানমন্দির এবং প্লুটোর চারপাশের চাঁদ এবং বৃহস্পতিতে বিধ্বস্ত একটি ধূমকেতুসহ আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ করেছে। টেলিস্কোপটি এখন ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। কয়েকদিন আগেই পৃথিবী থেকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দূরত্বে থাকা নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছিল হাবল টেলিস্কোপ। এই নক্ষত্রটি থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে ১২৯০ কোটি বছর সময় লেগেছে।’
এসএ/