রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি কিনেছে চীন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর প্রথম ১০০ দিনে আন্তর্জাতিক বাজারে ৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল-গ্যাস-কয়লা) বিক্রি করেছে রাশিয়া; আর এই জ্বালানির একটি বড় অংশই গেছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ)।
রুশ জ্বালানি ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কিত কিছু তথ্য তুলে ধরেছে সিআরইএ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০০ দিনে রাশিয়া যে পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বলানি রপ্তানি করেছে, তার ৬১ শতাংশই গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে; এবং এই পরিমাণ জ্বালানির বর্তমান বাজারমূল্য ৬ হাজার কোটি ডলার (৫ হাজার ৭০০ কোটি ইউরো)।
সোমবার ফিনল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। সেখানে দাবি করা হয়েছে— মৌখিকভাবে ইইউ নেতারা রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রত্যয় জানালেও বাস্তবে যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে তার তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি।
আর একক দেশ হিসেবে রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি কিনেছে চীন। তারপরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে জার্মানি ও ইতালি।
যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়ার জ্বালানি বাবদ যে রপ্তানি আয়, তার প্রায় অর্ধেকেরও বেশি— ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার এসেছে অপরিশোধিত তেল থেকে; বাকি অর্থ এসেছে গ্যাস ও কয়লা রপ্তানি করে।
যুদ্ধ শুরুর প্রথম ১০০ দিনে শীর্ষ রুশ জ্বালানি ক্রেতা দেশসমূহ হলো চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফ্রান্স। এসব দেশের মধ্যে চীন ব্যাতীত বাকি সবাই রাশিয়ার নতুন ক্রেতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিআরইএ’র প্রতিবেদনে।
বিশেষ করে ফ্রান্সের ওপর মনযোগ দিয়েছে সিআরইএ। সংস্থাটির গবেষক লৌরি মিলিভির্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। দীর্ঘকালীন চুক্তির পরিবর্তে স্বল্পকালীন ক্রয়চুক্তির ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস-কয়লা কিনছে ফ্রান্স। এই মুহূর্তে দেশটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ রুশ এলএনজি (তরলীকৃত গ্যাস) ক্রেতা।’
জি আই/