যন্ত্রের আধিপত্যে বিলুপ্তির পথে গরুর হাল


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


যন্ত্রের আধিপত্যে বিলুপ্তির পথে গরুর হাল

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি:  যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উত্তর অঞ্চলের গাইবান্ধা জেলা থেকে বর্তমান সমাজের মানুষের চোখে পরছে না, ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে থাকা গরুর হাল।  এক সময় গ্রাম বাংলায় ভোর হলেই দেখা যেত কৃষক জমি চাষের জন্য কাঁধে লাঙ্গল, জোয়াল, মই ও গরু নিয়ে ছুটতেন মাঠে।

এখন যন্ত্রের আধিপত্যে বিলুপ্তির পথে গরুর হাল। জমিতে বীজ বপণ বা চারা রোপণের জন্য জমির মাটি চাষের ক্ষেত্রে গরুর হাল ব্যবহার করা হতো। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে লাঙ্গল-জোয়াল, মই, গরু ও মহিষ। এক সময় গাইবান্ধার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ছিল গরু লালন-পালন। গরুগুলো যেন পরিবারের একেকটা সদস্যের মতো। 

তাদের দিয়ে একরের পর একর জমি চাষ করার কাজে ব্যবহার করতেন কৃষক। তাজা ঘাস আর ভাতের মাড়, খৈল-ভুসি ইত্যাদি খাইয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে তোলা কৃষকের  জোড়া হালের বলদ।  সেই বলদ দিয়ে দাপটে জমি চাষ করে বেড়াতেন কৃষক। হালচাষের জন্য প্রশিক্ষিত জোড়া বলদের মালিকের কাছে সিরিয়াল দিতে হতো জমি চাষের জন্য। চাষের মৌসুম আসলেই তাদের কদর ছিল একে বারেই বেশি। 

গাইবান্ধার সন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বজরা হলদিয়া মৌজার কৃষক ছবি মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অনেকের জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে চাষের লাঙ্গল-জোয়াল আর গরুর পালের সাথে। 

গরু দিয়ে হাল চাষ করলে জমিতে ঘাস কম হতো, হালচাষ করার সময় গরুর গোবর সেই জমিতেই পড়ত। এতে করে জমিতে অনেক জৈব সার হতো। এ জন্য ফসলও ভালো হতো।

বর্তমানে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার কৃষিক্ষেত্রে অনেক সাফল্য নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রাশেদুল করীম জনবানীকে বলেন, কম সময়ে জমি চাষ করতে পাওয়ার টিলার ব্যবহার হচ্ছে। পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর মাটির গভীরে যেতে পারে, জমি চাষ করা ভালো হয়। এমনকি আগের তুলনায় এখন ফসলের ফলন আরো বেশি হয়। তাই কৃষকেরা এ দিকেই ঝুঁকছেন বলে জানান তিনি।

এসএ/