টোঙ্গার একটি তার মেরামতে করতে সময় লাগবে এক মাস


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


টোঙ্গার একটি তার মেরামতে করতে সময় লাগবে এক মাস

প্রযুক্তি ডেস্ক: টোঙ্গায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া সমুদ্রের নিচের একটি তার মেরামত করতে কমপক্ষে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের কর্মকর্তারা। শনিবার সমুদ্রে বিধ্বংসী অগ্ন্যুৎপাত এবং সুনামির কারণে দেশের একমাত্র ডুবো সমুদ্রের তারের দুটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পরই পুরো বিশ্ব থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশটি। 

বুধবার নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, "মার্কিন কেবল কোম্পানি সাবকম পরামর্শ দিয়েছে, "টোঙ্গার তারের সংযোগ মেরামত করতে কমপক্ষে চার সপ্তাহ সময় লাগবে।"

এদিকে শুধু বিশ্বের সঙ্গেই নয়, দেশটির অভ্যন্তরীণ টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থাও প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। 

কয়েকটি স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে কোনোরকমে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে বুধবার টেলিকমিউনিকেশন ফার্ম ডিজিসেল টু-জি সংযোগ স্থাপন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। 

টোঙ্গার সমুদ্রের তলদেশের তারের ক্ষতি এই প্রথম নয়। এর আগেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তারের অপ্রত্যাশিত ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে দ্বীপরাষ্ট্রের এক লাখ বাসিন্দার জন্য মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। 

এবারের অগ্ন্যুৎপাতকে "অভূতপূর্ব বিপর্যয়" হিসাবে বর্ণনা করেছে টোঙ্গান সরকার। যার ফলে টোঙ্গার বিস্তীর্ণ অংশ ঘন ছাইয়ে ঢেকে গেছে। এ জন্য ত্রাণবিমানগুলি দেশটিতে নামতে পারছে না এবং প্রয়োজনীয় খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছে না। 

এখন ছাই পরিষ্কারে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল এবং স্বেচ্ছাসেবকরা। দেশটির প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে আজ পরিষ্কার করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গা’র ‘হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হা’আপাই’ আগ্নেয়গিরিতে শনিবার অগ্নিকাণ্ডের কারণে পাঁচ থেকে দশ মিটার উঁচু সুনামি ঢেউ তৈরি হয়েছিল। এই বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সুনামির কারণে দেশটির ১৬৯টি দ্বীপের ছোট দ্বীপগুলোতে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে।

নিউজিল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্সের তোলা ছবিতে দেখা গেছে ম্যাঙ্গো দ্বীপের একটি পুরো গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। পাশের আটাটা দ্বীপের অনেক ভবন ভেঙে গেছে। সেখানে আরও মৃত্যুর খবর পাওয়া যেতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। 

এসএ/