প্রেমিককে গলায় ফাঁস লাগানো সেলফি পাঠিয়ে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া সেলফি তুলে প্রেমিককে পাঠিয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী। এই অভিযোগে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কালনায়। মৃত ছাত্রীর নাম কোয়েল রুইদাস (১৭)। বাড়ি কালনার কুমোর পাড়া এলাকায়। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ছিল কোয়েল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, কোয়েল রুইদাস নামে ওই ছাত্রীটি অল্প বয়স থেকেই কালনা কুমোরপাড়ায় মামার বাড়িতে থাকত। স্থানীয় স্কুলেই সে পড়াশোনা করত। মামার বাড়ি সূত্রে জানা যায়, কোয়েলের বাড়ি মেমারি পাল্লা রোডে। তার বাবার নাম রাজু রুইদাস। পড়াশোনার সুবিধার্থে তাকে লকডাউনের সময় একটি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া হয় মামার বাড়ি থেকে।
অভিযোগ, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে কোয়েলের আলোচনা শুরু হয়। অল্প দিনেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেখা না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দিনরাত ভালবাসার মেসেজ আদান প্রদান চলত কোয়েল ও তার প্রেমিকের মধ্যে। ভাঙা ভাঙা ইংরাজি ও হিন্দি কর্থাবার্তা হতো। যদিও ওই সম্পর্ক মামার বাড়ির দাদু ও মামাদের অজানা ছিল বলেই জানা যায়। সোমবার দুপুরে কোয়েলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মেমারি পাল্লা রোড থেকে ছুটে আসেন কোয়েলের বাবা-মা। এরপর কোয়েলের মোবাইল চেক করেন তাঁরা। মেসেজ দেখে অবাক হয়ে যান।
দেখা যায়, কোয়েল হোয়াটসঅ্যাপে প্রেমিককে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়ার সেলফি তুলে পাঠিয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই ছবি পাঠানোর পরই নাবালিকা ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে।
মৃতার দাদু মিন্টু রুইদাস জানান, “নাতনি ছোট বয়স থেকেই এখানে থাকে। পড়াশোনা ও করত। এর জন্য মোবাইল ও কিনে দেওয়া হয়। প্রেম- ভালবাসার ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। তবে এক যুবক মঙ্গলবার ও বহুবার নাতনির ফোনে ফোন দেয়। মোবাইলই যে নাতনির মৃত্যুর কারণ হবে বুঝতে পারিনি। বিষয়টি পুলিশকে আমরা জানাব। কেন এই পদক্ষেপ নিলেন।”
এসএ/