বিশ্বব্যাংকের ক্ষমা চাওয়া উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিশ্বব্যাংকের ক্ষমা চাওয়া উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

‍“পদ্মা সেতু নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ানোয় বিশ্বব্যাংকের ক্ষমা চাওয়া উচিত। দাবি- তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। যারা হয়রানির শিকার হয়েছে তাদেরও বিশ্বব্যাংকের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।”   

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু আর স্বপ্ন নয়, এক বাস্তবতা। নিজ দেশের সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে খরস্রোতা নদীর ওপর মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এই সেতু।

আবদুল মোমেন বলেন, “এই প্রকল্পের শুরুর দিকে ছিল তিক্ত অভিজ্ঞতা। দুর্নীতির অভিযোগে এর অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাংক। তবে কোনো অর্থ ছাড়ের আগেই সে অভিযোগ টেকেনি কানাডার আদালতে।”

তিনি বলেন, “সেই বির্তকিত সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের কাছে নতজানু হতে হবে। শুধু তাই নয়, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুঁড়েছিলো তাদের কাছে চাইতে হবে ক্ষমা।”

তিনি আরো বলেন, “তাদের (বিশ্বব্যাংক) অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাদের নিশ্চয়ই দুঃখ হওয়া উচিত যে তারা এত অন্যায় কাজ করেছে! বড় প্রতিষ্ঠান যে সব সময় ভালো করে বিষয়টি তা না। এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে বহু লোককে তারা (বিশ্বব্যাংক) জ্বালাতন করেছে। তাদের অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত। যে লোকগুলোকে বিশ্বব্যাংক হয়রানি করেছে, হেস্তনেস্ত করেছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত। আর তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং বলা উচিত যে আমরা খুব অন্যায় কাজ করেছি।”

এ কে আবদুল মোমেন বলেন, “নতুন আঞ্চলিক জোটগুলোতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও সাবধানী হতে চায় সরকার। এসব জোট থেকে চাওয়া-পাওয়ার হিসাব না মেলা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। নতুন এসব জোটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ফোরামগুলো সরকারকে এখনও কোনো স্বচ্ছ ধারনা দিতে পারেনি।”

এসএ/