উৎপাদনে বিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
“দেশে যেভাবে কৃষি জমি কমছে তাতে আগামীতে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও বাংলাদেশ উৎপাদনের দিক থেকে সারা বিশ্বের বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।”
রোববার (১৯ জুন) সকালে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) কনভেনশন হলে কৃষি তথ্য সার্ভিসের আয়োজনে ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি ও গণমাধ্যম’ বিষয়ক সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন
তিনি বলেন, “যেভাবে কৃষিজমি কমছে তাতে আগামী ২০ বছর পর যেখানে বাংলাদেশে আরও ৪ কোটি মানুষ যোগ হবে, তখন লক্ষ একর জমি কমে যাবে। আর আগামী শতাব্দীতে কোন কৃষিজমি অবশিষ্ট থাকবে না। তখন মানুষকে কিভাবে খাওয়ানো হবে সে বিষয় মাথায় রেখে নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা যে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছি, সেটা পরিবেশ ও প্রকৃতির কথা মাথায় রেখে করতে হবে। জনগণকেও সচেতন হতে হবে। সেজন্য গণমাধ্যমকে ব্যাপক ভূমিকা নিতে হবে।”
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “গণমাধ্যম কৃষিবিপ্লবে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। আমি একজন পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে কৃষি ও কৃষি বিষয়ক খবরগুলো একটু বেশিই আগ্রহ ভরে দেখি ও পড়ি। এটিই সত্য গণমাধ্যমের কল্যাণে ছাদ কৃষি, নগর কৃষি সবার কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পরিবেশের প্রাণ বৃক্ষ, অপ্রয়োজনীয়ভাবে বৃক্ষ নিধন রোধে গণমাধ্যম অনন্য ভূমিকা ও জনসচেতনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করছে।”
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীদের গবেষণার কারণে আজকে বাংলাদেশের কৃষি অনেক দূর এগিয়েছে। আয়তনে ছোট ও ঘনবসতি দেশ হওয়ার পরও কৃষিতে আমাদের সাফল্য অনেক। প্রতিবছর আমাদের কৃষিজ উৎপাদন বাড়ছে। স্বাধীনতার পরে আমাদের মোট কৃষিজ উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ মেট্রিক টন, সেখানে বর্তমান উৎপাদন বেড়েছে ৪ কোটি ৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন অথ্যাৎ ৪ গুণের বেশি বেড়েছে। প্রতিবছর ঘড়বাড়ি, কলকারখানা, রাস্তা নির্মাণের কারণে কৃষি জমি কমলেও কৃষিতে আমাদের উৎপাদনের ধারা কমেনি। এটি আমাদের মত উন্নয়শীল দেশের জন্য বহিঃবিশ্বের কাছে একটি অবাক করা বিষয়। আর এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারনে।”
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যামেরিটাস অধ্যাপক ও বাকৃবির সাবেক উপাচার্য এম. এ. সাত্তার মন্ডল। কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন।
এসএ/