জ্বালানি তেল ও বিটুমিনের মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


জ্বালানি তেল ও বিটুমিনের মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: উদ্বেগ বাড়িয়ে বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ছাড়িয়ে গেল ব্যারেলপ্রতি ৮৮ ডলার, যা গত ৭ বছরে সর্বোচ্চ। বেড়েছে অন্যান্য অপরিশোধিত তেলের দামও। তবে নতুন বছরে টানা তিন সপ্তাহ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম। এক মাসের ব্যবধানে এই তেলের মূল্যবৃদ্ধির হার অন্তত ২৩ শতাংশ। এতে দেশের বাজারে বিটুমিনের দাম ব্যারেলপ্রতি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফের বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দামও।

বছরের প্রথম সপ্তাহে ৫.১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৮১.৭৬ ডলারে উঠে আসে। দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫.৭৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম দাঁড়ায় ৮৬.৪৭ ডলার। এক মাস আগে এই তেলের দাম ছিল ৭১.৫৭ ডলার। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৮৮.০৪ ডলার। মাসের ব্যবধানে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বাড়ল ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে, ডাব্লিউটিআই ক্রুডের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এক দিনের ব্যবধানে প্রায় দেড় শতাংশ বেড়ে তা ছাড়িয়ে যায় ৮৫ ডলার।

উল্লেখ্য, দেশে বছরে বিটুমিনের মোট চাহিদা কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ লাখ টন। সরকারি পর্যায়ে উৎপাদন সক্ষমতা মাত্র ৬০ থেকে ৭০ হাজার টন। চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে নিম্নমানের ভেজাল বিটুমিন আমদানি করে আসছিল। সেসব নিম্নমানের বিটুমিনে তৈরি সড়কগুলো ছয় মাসেই খানাখন্দে ভরে যায়। বাড়ে জনদুর্ভোগ এবং স্থায়িত্ব কমে সেসব সড়কে চলা যানবাহনেরও। আবার ক্ষতিগ্রস্ত সেই সড়কগুলো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় উন্নতমানের বিটুমিনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে দেশে বেসরকারি পর্যায়ে বিটুমিন উৎপাদনের প্লান্ট গড়ে উঠেছে।

গত এক বছরে অপরিশোধিত তেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম গত বছর ঠিক এই সময়ে ছিল প্রতি ব্যারেল মাত্র ৫৫.৯০ ডলার। এক বছরের মাথায় তা বেড়ে ছাড়িয়ে গেছে ৮৮ ডলার। বিটুমিন উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রধান এই উপকরণের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে পারে বিটুমিনের বাজারে। এ ছাড়া ডিজেল, পেট্রলসহ বিভিন্ন জ্বালানি তেলের ওপরও পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব।

এসএ/