মহানবিকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি: মমতার বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব পাস
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মঙ্গলবার (২১ জুন) টাইমস অব ইন্ডিয়া এ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে মমতার বিধানসভা। সোমবার (২০ জুন) পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় এ প্রস্তাব পাস হয়। তবে মহানবী (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন হওয়ায় পাস হওয়া নিন্দা প্রস্তাবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রমাগত ব্যর্থতা থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর জন্য বিভাজনমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্ররোচিত না হওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন।’
বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্য সম্পর্কে প্রস্তাব পেশ করেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এসময় তিনি বলেন, “রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছি। কিন্তু সারা দেশে যেভাবে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা হয়েছে, তা আসলে মূল বিষয় কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। ধর্মের নামে, বিজেপির এক মুখপাত্রের মন্তব্যের জেরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চলছে। এ ধরনের মন্তব্য করা এবং তাকে ঘিরে উসকানি দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
এরপর সকলের কাছে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রস্তাব হাত তুলে সমর্থন করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সেই নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বিধানসভার অধিবেশনে মমতা বলেন, “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাইদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা রাস্তা ও রেলপথ অবরোধ করবেন না, দয়া করে দোকান ভাংচুর করবেন না। বিজেপিকে কোনো সুবিধা দেবেন না। সময় এসেছে সংযম ও ধৈর্য দেখানোর।”
মমতা বলেন, “হাওড়া, ডোমকল এবং রেজিনগরে কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তাদের ক্ষতিপূরণ দেব। যারা এ ধরনের সহিংসতা ঘটিয়েছে তাদের প্রতি আমার কোনো সহানুভূতি নেই। আমি পুলিশকে বলেছি ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে।”
অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রতিবাদ জানান এবং পরে ওয়াকআউট করেন।
উল্লেখ্য, ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মা এক টেলিভিশন শোতে অংশ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। পরে দলটির নয়াদিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দালও নূপুর শর্মার মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করেন।
এসএ/