পদ্মা সেতুতে ১০৫ কিমি গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন নিহত ২ যুবক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পদ্মা সেতুতে ১০৫ কিমি গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন নিহত ২ যুবক

গত ২৫ জুন পদ্ম সেতুর উদ্ধোধনের পর রবিবার (২৬ জুন) সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় ঐতিহাসিক এই সেতু। আর প্রথম দিনেই বেপরোয়া বাইক  চালিয়ে নিহত হয়েছেন ২ যুবক। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০৫ কিলোমিটার। তাদের একজন মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন, অন্যজন পেছনে বসে ভিডিও করছিলেন।

রোববার (২৬ জুন) রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিন রাতে পদ্মা সেতুতে ভয়াবহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তারা।

হঠাৎ মোটরসাইকেলের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সামনে পড়ে যান। এতে গুরুতর আহত হন চালক ও আরোহী। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত দুই যুবক ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জের বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)। নিহত আলমগীর মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করতেন। আর ফজলু প্রবাসী, একমাস আগে তিনি দেশে আসেন।

জানা গেছে, সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ভিডিওতে দেখা যায়, পদ্মা সেতুতে অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে সব গাড়িকে ওভারটেক করেন হোসেন ও ফজলু। এরপর ধীরে ধীরে মোটরসাইকেলের গতি ৯০, ৯৫, ১০০ থেকে ১০৫ পর্যন্ত উঠতে দেখা যায়। কিছু সময় পর সেই গতি কমে নেমে আসে ৭০-এ। এরপরই হঠাৎ ডানে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের সামনে গিয়ে পড়ে। পদ্মা সেতুর ওপর ৬০ কিলোমিটার বেগে মোটরসাইকেল চালানোর নির্দেশনা থাকলেও নিহত দুজন তা ভঙ্গ করে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুলিশ ক্যাম্পের (ইনচার্জ) ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মারাত্মক আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় সেতুর ওপর পড়ে আছেন দুজন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।”

তিনি আরো জানান, “তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।”

এসএ/