বৃষ্টি হলেই সড়ক হয় পুকুর


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বৃষ্টি হলেই সড়ক হয় পুকুর

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী-মাদিলাহাট সড়কের ফুলবাড়ী পৌরশহরের সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখ স্থানের বেশ কয়েকটি স্থানে সড়কের ইট-পাথর-বালি ও খোয়া উঠে দিয়ে খানা-খন্দকসহ বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে।

এতে গতে বৃষ্টির পানিসহ স্থানীয় হোটেল রেস্তোরার পানি জমে থাকায় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারি-শিক্ষার্থীসহ হাজারো পথচারিদের চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ তিনবছর ধরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্টদের এদিকে কোন নজর নেই।

এই সড়কে চলাচলকারি নতুন পথচারিসহ মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, টেম্পো ও সিএনজি চালকরা খানা-খন্দকসহ গর্তে অবস্থান বুঝতে না পেরে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ইতোমধ্যে এই সড়কে গত এক মাসে ছোটবড় প্রায় ২০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। 

পৌরএলাকার টেম্পোস্ট্যান্ড থেকে মাদিলাহাট ১০ কিলোমিটারের সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ ৫ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের উপজেলা সদরের সঙ্গে একমাত্র সড়ক পথের যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় সড়কটির ইট-পাথর-খোয়া-বালুসহ কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দ ও গর্তে পরিণত হয়েছে। তবে গত বছর বর্তমান পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন ৩০ হাজার টাকার রাবিশ ফেলে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করেন। 

স্কুলগামী শিক্ষার্থী রুবাইয়া ইসলাম (১৩), আদিব হাসান (১১) ও প্রিয়া রানী (১৫) বলেন, ‌‘আমরা সুজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমাদের স্কুলের সামনের সড়কে বড় বড় গর্ত রয়েছে।  সামান্য বৃষ্টি হলে পুকুরে পরিণত হয়। এ সময় প্রায়ই সময় সড়কের নোংরা পানি শরীরে এবং পোষাকে লাগার কারণে স্কুলে যাওয়ার মাঝ পথ থেকে বাড়ী ফিরতে হয়।’ 

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রউফ ও সাইফুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স, ইজিবাইক, রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন নিত্যদিন চলচাল করছে এই সড়কে। সুজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কটি চলাচলের একেবারে অনুপযোহী হয়ে পড়েছে।’
 
রিকশা ভ্যান চালক রহমত আলী ও আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘যাত্রীদের গালমন্দ আর গাড়ির ক্ষতি মেনে ওই পথ দিয়েই রিকশা ভ্যান চালাতে হচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটবে এমন বিষয় মেনে নিয়েই ওই পথে চলাচল করতে হচ্ছে।’ 

সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী জনবাণীকে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সমানের সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত দুর্ভোগ আর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।’ 

পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন জনবাণীকে বলেন, ‘সুজাপুর সড়কটি এলজিইডি’র প্রকল্পের। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে বিদ্যালয়ের সামনের খাল-খন্দকে ৩০ হাজার টাকার রাবিশ ফেলানো হয়েছে।’

উপজেলা প্রকৌশলী এফএএম রায়হানুল ইসলাম জনবাণীকে বলেন, “সুজাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে চাঁদপাড়া পর্যন্ত সড়কটির কাজের জন্য প্রয়োজনীয় নথি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নথি অনুমোদন হলেই এই এক কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু করা হবে। এতে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ হবে।”

এসএ/