গোপালগঞ্জের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে যা জানা যাচ্ছে
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, ১৭ই জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার পর কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে শহরের কোথাও কোনো হামলা বা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা না ঘটলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
শহরে রাত ৮টা থেকে কারফিউ শুরু হয়েছে যা চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। স্পর্শকাতর স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল চলছে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত
রাত সাড়ে ৮টায় শহর মোটামুটি শান্ত দেখা গেছে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শহরে যান চলাচল একবারে নেই বললেই চলে। যে কয়েকজনকে রাস্তায় দেখা গেছে তারাও বাড়িমুখো।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন রাত সাড়ে ৮টায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখন শহর শান্ত আছে। হামলাকারীরা কোথাও কোথাও আছে। তবে পুলিশের সঙ্গে তারা মুখোমুখি অবস্থানে নেই।
বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে।
এর আগে সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত ঘটায় র্দূবৃত্তরা। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নিরাপদে গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন এনসিপি নেতারা
এসবের মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে ব্যাপক হামলা চালায়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করা হয়।
এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।এ পরিস্থিতিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে তারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে পুলিশ সুপার কার্যালয় ছাড়েন। দুপুরে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সন্ধ্যায় কারফিউ জারির ঘোষণা আসে।
এমএল/