প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যয় কমিয়ে বন্যার্তদের পাশে রাবি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। কিন্তু এ দিবসকে ঘিরে রাবির বুকে নেই কোনো আলোকসজ্জা, নেই চঞ্চলতা। প্রতি বছরই জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবছর দিবসটিকে ঘিরে ক্যাম্পাসে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন রাখা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বর্ণাঢ্য আয়োজনের বাজেটের টাকা বাংলাদেশে সংকটকালীন মুহুর্তে আর্ত মানবতার কথা ভেবে বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সকাল ১০ টায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের উপস্থিতি, ১০.০৫ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলন, ১০.১০ মিনিটে উদ্বোধন ( বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা অবমুক্তকরণ), সকাল সোয়া ১০টায় বৃক্ষরোপণ, সাড়ে ১০টায় শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোকসজ্জা ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান না থাকায় কিছু শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী এটার পক্ষে আছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য সুলতান-উল- ইসলাম জনবাণীকে বলেন, “এ বছর আলোকসজ্জা না করার পিছনে একটা মহৎ উদ্দেশ্য আছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বাজেট থেকে বেঁচে যাওয়া টাকা বন্যার্তদের সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এছাড়াও সারাদেশে বর্তমানে যে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়েছে। এই বিষয় দুটি বিবেচনায় আমরা এবছর আলোকসজ্জা বন্ধ রেখেছি।”
এছাড়াও এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূর জনবাণীকে বলেন, “বন্যা পীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এ বছর আমরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শিথিল করেছি। নির্ধারিত বাজেট থেকে আমরা কিছু টাকা খরচ করেছি বাকি টাকাটা বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি। কত টাকা আমাদের বাঁচলো সেটা দ্রুত সময়ের মধ্যে হিসাব করে আমরা বন্যার্তদের মাঝে বিলিয়ে দিব।”
এসএ/
বিজ্ঞাপন
