কে হচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী?


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


কে হচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী?

অবশেষে পদত্যাগ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দুদিন ধরে দলের ভেতরে নজিরবিহীন বিদ্রোহ আর পার্লামেন্টে ও প্রচারমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার পরও একগুঁয়েভাবে পদ আকড়ে থাকার পর শেষপর্যন্ত হাল ছাড়তে বাধ্য হলেন তিনি। বরিস জনসনের এমন প্রস্থানে ব্রিটেনের রাজনীতিতে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হতে চলেছে।এক সময়কার সাংবাদিক জনসন কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিতে আসার পর থেকে নিজের কট্টরপন্থী অবস্থান এবং প্রথাবহির্ভূত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের মতো এক ধরনের পথ তৈরি করে নিয়েছিলেন। সঙ্গত কারণেই ব্রিটেনে অনেকে বরিস জনসনকে ব্রিটিশ রাজনীতির ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে অভিহিত করতেন।লন্ডনের মেয়র পদে দায়িত্ব পালনের সময় থেকে জনসন নিজেকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতাদের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জার হিসেবে উপস্থাপন করতে থাকেন। ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার পক্ষে অনুষ্ঠিত গণভোট তার সামনে এগোনোর পথ খুলে দেয়। গণভোটে ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত আসায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এরপর টেরেসা মের নেতৃত্বে গঠিত সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হন বরিস জনসন। তখন থেকে ব্রাসেলসের সঙ্গে লন্ডনের আলোচনা ও দরকষাকষিতে বারবার অচলাবস্থা এবং ব্রিটেনের একের পর এক আলোচকের পদত্যাগ বলে দিচ্ছিল, টেরেসা মেকে হটিয়ে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রী হওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার।প্রধানমন্ত্রী হবার পর বিতর্ক যেন জনসনের পিছু ছাড়ছিল না। নিজের তুর্কি বংশোদ্ভূত পিতামহের মুসলিম পরিচয়কে রাজনৈতিক স্বার্থ অনুযায়ী একবার একভাবে ব্যবহার করা বরিস জনসন হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীদের নিনজা, ডাকবাক্স ইত্যাদি অভিহিত করে সমালোচনার মুখে পড়েন। কোনোরকম রাজনৈতিক পরিচয় ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও নিজের সে সময়কার বান্ধবীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানাতে চেয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কনজারভেটিভ পার্টির নেতাদের সঙ্গে।

কোভিড মহামারীর প্রাদুর্ভাব বরিস জনসনের রাজনৈতিক অপরিপক্কতা ও দ্বিচারিতাকে আরও বেশি স্পষ্ট করে তোলে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য খাতের বেসরকারিকরণের উদ্যোগ, রেল ও পানি সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবায় বাজেট বরাদ্দে অনাগ্রহ-এমন নানা অজনপ্রিয় সিদ্ধান্তের কারণে খুব দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা হারাতে থাকেন তিনি। যার চুড়ান্ত পরিণতি হিসেবে তাকে জনপ্রিয়তার হিসাবে রিক্ত অবস্থায় ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে।টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ সরকারের একের পর এক মন্ত্রী-এমপির পদত্যাগের পর অবশেষে পদ ছাড়তে বাধ্য হলেন জনসন। এর আগে  মঙ্গলবার রাতে পদত্যাগ করেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ। এরপর পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এভাবে একে একে সরকারের ৩৫ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেও পদ আঁকড়ে বসেছিলেন বরিস জনসন। ঋষি সুনাকের স্থলে তিনি মিলিওনেয়ার এমপি নাদিম জাহাওয়িকে অর্থমন্ত্রী নিয়োগ করেন।নাদিম জাহাওয়িসহ ১৫ জন মন্ত্রী জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান। কিন্তু জনসন পদ ছাড়তে রাজি হননি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানানোয় তিনি কনজারভেটিভ পার্টির প্রভাবশালী নেতা মাইকেল গোভকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করেন।শেষ পর্যন্ত জনসন বুঝতে পারেন তার পক্ষে কোনোভাবেই সরকার চালানো সম্ভব নয়। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে পদত্যাগপত্রের খসড়া প্রণয়নের জন্য ডেকে নেন।তিন বছরেরও কম সময় আগে সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলেও সাম্প্রতিক সময়ে বরিস জনসনের একের পর এক অসততা ও ব্যর্থতার খবর প্রকাশ হতে থাকে। কোভিড প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন চলাকালে নিয়ম ভেঙ্গে নিয়মিত পার্টি আয়োজনের খবর প্রকাশ পেলে তিনি জরিমানা গুনতে বাধ্য হন।এরপর প্রকাশ পায় নিজের স্ত্রী ও সে সময়কার বান্ধবী ক্যারি সাইমন্ডসকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ দেওয়ার চেষ্টার খবর। 

অতি সম্প্রতি সাবেক ডেপুটি চিফ হুইপ ক্রিস পিনশারের যৌন অসদাচরণে জনসনের প্রশ্রয়ের কথা ফাঁস হলে দলের ভেতর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়। জনসনের পদত্যাগের খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেবার পার্টি নেতা কেইর স্ট্যারমার বলেছেন, এটা দেশের জন্য ভালো খবর। কিন্তু এটা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। সত্যি বলতে কী,কেউই অপরিহার্য নয়। এই বার্তা দিয়ে পদত্যাগ করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিন বছরেরও কম সময় ক্ষমতায় থাকার পর কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এই ঘোষণা দিয়ে তিনি গত নির্বাচনে যে লাখ লাখ মানুষ কনজার্ভেটিভ পার্টিকে ভোট দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতার জন্য লড়াই করার কারণ ব্যাখ্যা করেন জনসন। বলেন, আমি লড়াই করেছি আমার কাজের জন্য, আমার দায়িত্বের জন্য এবং আপনাদের প্রতি আমার বাধ্যবাধকতার জন্য। তিনি আরও বলেন, তার মন্ত্রিপরিষদকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, এখন প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করা হবে একটি উদ্ভট ব্যাপার। কিন্তু আমার সেই যুক্তিগুলোতে সফল হতে না পারার জন্য অনুশোচনা করছি।এটা সফল না দেখতে পেয়ে বেদনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখন নতুন নেতা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। বৃটিশদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সেরা কাজটি ত্যাগ করতে আমি কতটা বেদনাহত, তা আপনাদের জানাতে চাই। এর আগে মন্ত্রী এবং সহযোগী মিলে কনজার্ভেটিভ পার্টির কমপক্ষে ৫০ জনের পদত্যাগের ফলে বরিস জনসনের ওপর পদত্যাগের তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়।নিজের মন্ত্রিপরিষদে এই গণবিদ্রোহ শুরু হয় গত মঙ্গলবার। বিশেষ করে ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ২০১৯ সালে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগ দেয়া নিয়ে তিনি সর্বশেষ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।ডাউনিং স্ট্রিট থেকে স্বীকার করা হয়, প্রধানমন্ত্রী জনসন বিষয়টি জানতেন। তা সত্ত্বেও তাকে ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগ দেন। 

এর ফলে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন অনেক মন্ত্রী ও দলীয় সদস্য। শুরু হয় পদত্যাগ। প্রথমেই  পদত্যাগ করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ও চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক। এর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এমপিদের পদত্যাগপত্রের স্তূপ হতে থাকে। তাতে বরিস জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়। এ অবস্থায় ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্রাডির সঙ্গে এক বৈঠকের পর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন জনসন। তার কার্যালয়ের এক সূত্রের বরাত দিয়ে স্কাই নিউজ জানিয়েছে, ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্রাডির সঙ্গে বৈঠকে তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে সম্মত হন। এর পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন জনসন। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আগামী অক্টোবর মাসে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হবে। তার পদত্যাগের খবর শুনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টর্মার। তিনি একে সুসংবাদ বলে আখ্যায়িত করেন। বলেন, জনসন সবসময়ই বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অযোগ্য ছিলেন। তিনি মিথ্যা বলেছেন, স্ক্যান্ডাল ঘটিয়েছেন এবং প্রতারণা করেছেন। যারা তাকে সাহায্য করেছেন তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। স্টর্মার আরও বলেন, তারা ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে যে ক্ষতি করেছেন তা অনেক গভীর। ১২ বছর ধরে অর্থনীতি থমকে আছে। ১২ বছর ধরে সরকারি সেবা কমছে। ১২ বছর ধরে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি চলছে। কিন্তু যথেষ্ট হয়েছে। কনজারভেটিভ দলের মধ্যে পরিবর্তন দিয়ে কিছু হবে না। আমাদের প্রয়োজন সরকার পরিবর্তন। বৃটেনকে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন, আর এর মধ্য দিয়ে তার প্রধান মন্ত্রিত্বেরও অবসান ঘটছে। তবে কনজারভেটিভরা নতুন নেতা ঠিক হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে নেবেন। জনসন আনুষ্ঠানিকভাবে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার পর দলটির নতুন নেতা বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটি শুরু হবে। 

এদিকে জনসন দলের প্রধান থেকে পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে এখনই সরে না দাঁড়ানোর ঘোষনা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তার দলের এমপিরাই বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন প্রাইম মিনিস্টারের কাছে এখনই ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। ওদিকে যুক্তরাজ্যে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বরিস তাঁর ক্ষমতা ব্যবহার করে নির্বাচনের তারিখ আরও এগিয়ে আনতে পারেন। আরেক বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা স্যার এড ডেভি বলেন,কনজারভেটিভ- দের অবশ্যই দেশাত্মবোধক দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং বরিস জনসনের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে তাকে যে তীব্র প্রশ্নবানের মুখোমুখি হতে হয়, সেখানে অবশ্য তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে জনগণ তাকে বিপুল ম্যান্ডেট দিয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে চান।কনসারভেটিভ পার্টিতে মাত্র মাসখানেক আগে বরিস জনসনের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। দলের পার্লামেন্টারি পার্টির ভোটাভুটিতে তিনি সে যাত্রায় টিকে যান। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একজন মিত্র  বলেছেন, এখন প্রশ্ন আসলে তিনি কিভাবে বিদায় নেবেন। তিনি আরও বলেছেন, পরিস্থিতি আর তার টিকে থাকার মত অবস্থায় নেই। পার্লামেন্টে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কির স্টার্মারও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিকবার পার্লামেন্টে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেবার অভিযোগ তোলেন। কিন্তু মজনসন তার পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তার সরকার অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভালো কাজ করছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে যাবেন। কিন্ত বিবিসি ও সিএনএনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রার্থী বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে। দলের অন্তত আট জন এমপির সমর্থন থাকলে একজন আগ্রহী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হবেন। যদি তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকে তাহলে তিনি সরাসরি দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।

তবে যদি মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা দুই জন হয় তাহলে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের একজনকে নেতা নির্বাচিত করবেন। এভাবে দলটির নির্বাচিত নতুন নেতা হবেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।আর মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা দুইয়ের অধিক হলে প্রক্রিয়াটি একটু দীর্ঘ হবে। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত পর্বের দুই প্রার্থীকে বেছে নিতে দলের এমপিরা ভোট দেওয়া শুরু করবেন। প্রথম পর্বের ভোটে ১৮ জনেরও কম এমপির ভোট পাওয়া প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়বেন।দ্বিতীয় পর্বে যে প্রার্থী ৩৬ এর কম ভোট পাবেন তিনি ছিটকে যাবেন। এরপরও প্রার্থী তিন বা ততোধিক হলে এদের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া জন বাদ পড়বেন। তারপর থেকে প্রার্থীর সংখ্যা দুই জনে দাঁড়ানো না পর্যন্ত এমপিদের ভোট দেওয়া চলতে থাকবে আর সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী বাদ পড়তে থাকবেন।চূড়ান্ত যে দুই প্রার্থী থেকে যাবেন তাদের মধ্যে একজনকে নেতা হিসেবে বেছে নিতে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ভোট হবে। পোস্টাল ভোটে যিনি বেশি সমর্থন পাবেন তিনিই হবেন দলটির পরবর্তী নেতা আর নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

লেখক: রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট।  

এসএ/