চরাঞ্চলের ভুট্রা চাষিদের মুখে স্বপ্নের হাঁসি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চরাঞ্চলের ভুট্রা চাষিদের মুখে স্বপ্নের হাঁসি

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দেশে খাদ্য শস্যের মধ্যে অন্যতম একটি খাদ্য শস্য ভুট্টা। কম খরচে এই ভুট্টার আবাদ থেকে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। যাহা অন্য ফসলের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়, তাই দিন দিন ভুট্টার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে উপজেলার চরাঞ্চলসহ ১৫ টি ইউনিয়নে।

কৃষক ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভুট্টার চাষে অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা করছেন। 

চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৮০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ করা হয়েছে।  ভুট্টা চাষে খরচ কম হওয়ায় এবার এ উপজেলায় কৃষকরা ভুট্রা চাষে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। শুক্রবার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার  ১৫ নং কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটিকাপাসিয়া মৌজায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কৃষকের স্বপ্ন বাতাসে দুলছে।  

এবিষয়ে ভূট্রা চাষি লুৎফর রহমান জানান, গত মৌসুমে ভূট্রার বাম্পার ফলন ও ন্যায্যমূল্য পাওয়ায়, এ চছর বোরো ধান চাষ না করে চরঅঞ্চলের কৃষক ভুট্রা চাষে বেশি নজর দিয়েছেন। গত মৌসুমের থেকে এবছর ভুট্রার ফলন আরো বেশি ভালো হয়েছে। অন্য অন্য মৌসুমের থেকে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৫/৬ মন ভূট্রা বেশি ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে।

তিনি আরো জানান, বোরো চাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি, অথচ ধান কাটাই মাড়াই শুরু হলে ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই পাওয়া যায় না। কিন্তু ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম, দামও তেমনি বেশি, এ জন্য আমরা ভুট্টা চাষে ঝুকে পরেছি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশেদুল কবীর জনবাণীকে জানান, গত বছরে এ উপজেলায় ৩৯০০ হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষাবাদ করা হয়ে ছিল। এ বছর ৪০০৫ হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষাবাদের জন্য ২৬০৯ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, কৃষি অফিস থেকে ভুট্রা চাষিদের ক্ষেতে সব ধরনের তদারকি করা হচ্ছে। যাহাতে আগামী মৌসুমে ভুট্রা চাষে কৃষকদের আরো আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। এ উপজেলায় ভুট্রার পাশাপাশি সরিষা চাষ বৃদ্ধির জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যাহাতে আগামী সিজনে এ বারের তুলনায় দ্বিগুণ উৎপাদন করা সম্ভব হয়। 

এসএ/