দলমত নির্বিশেষে সরকার সবার জন্য ঠিকানা নিশ্চিত করবে: প্রধানমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


দলমত নির্বিশেষে সরকার সবার জন্য ঠিকানা নিশ্চিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

দলমত নির্বিশেষে সরকার সবার জন্য ঠিকানা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি মানুষ যেন বসবাস করতে পারে, সেজন্য একটা জায়গা করে দেওয়া। এটা প্রথম করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ খাদ্য পাবে, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান পাবে। 
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যখন দেশে ফিরি আমাদেরকে ৩২ নাম্বারের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা ৩২ নাম্বারের রাস্তায় বসে দোয়া পড়েছি, সবার মাগফিরাত কামনা করেছি। 

এসময় তিনি মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলার সকল উপজেলাসহ সারাদেশের ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পাঁচটি জেলার পাঁচটি স্থানের সাথে সংযুক্ত হন।

স্থানগুলো হচ্ছে- লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলাধীন চরকলাকোপা আশ্রয়ন প্রকল্প, বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা আশ্রয়ন প্রকল্প, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলাধীন চর ভেড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্প, পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন মহানপাড়া আশ্রায়ন প্রকল্প ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলাধীন জাঙ্গালিয়া আশ্রয়ন প্রকল্প।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ খাদ্য পাবে, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান পাবে।”

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যখন দেশে ফিরি আমাদেরকে ৩২ নাম্বারের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা ৩২ নাম্বারের রাস্তায় বসে দোয়া পড়েছি, সবার মাগফিরাত কামনা করেছি।’

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা-একটি মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। এই লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি জমির মালিকানাসহ ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ জুন জমির মালিকানাসহ ৫৩ হাজার ৩৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণ করা একক ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। চলমান তৃতীয় পর্যায়ে মোট বরাদ্দ করা একক ঘরের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০০টি, যার মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল হস্তান্তর হয় ৩২ হাজার ৯০৪টি। আজ হস্তান্তর হবে ২৬ হাজার ২২৯টি। এছাড়া আরও নির্মাণাধীন রয়েছে ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর।

ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। ঘরগুলোকে বেশি টেকসই করে নির্মাণ করতে মজবুত কড়ি কাঠ, পাথরের সর্দল ও রিইনফোর্স কংক্রিট কলাম (আরসিসি) পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।

ওআ/