ট্রান্সজেন্ডার নারীকে নির্যাতন: মূলহোতাসহ ৩ জন গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এক বাসায়
ট্রান্সজেন্ডার এক নারীকে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মূলহোতা
ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ও সহযোগী তথাকথিত নারী আরজে সায়মা সিকদার নীরাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার
করেছে র্যাব।
রবিবার
(২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ফার্মগেট ও মহাখালী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে
গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের
আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার
(২১ জানুয়ারি) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঢাকার ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন। এছাড়াও ঘটনার
বিবরণ পোস্ট করেছেন তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।
সাদ
মুআ তিনজন অপরাধীর মধ্যে দুজনের ছবি প্রকাশ করে লেখেন, “তিনজনের এই হচ্ছে দুজন, যারা
আমাকে আটকে রেখে আমাকে টর্চার করে সব কিছু নিয়ে নেয়। মেয়েটার নাম সায়মা শিকদার
নিরা, ছেলের নাম ইশতিয়াক ফুয়াদ। এই মেয়েটাকে তারা স্যার স্যার বলে ডাকছিল। আর ওয়াকিটকিতে
রাফাত বিন নুর স্যার–এর সঙ্গে কথা বলছিল আমাকে পাচার করে দেওয়ার
জন্য। পরে জানলাম, সে যে রাফাত–এর কথা বলছিল, তিনি আর্মিতে চাকরি করেন;
আর সে এখন মিশনে দেশের বাইরে আছে। আর ছবির ছেলেটা এয়ারফোর্সে ছিল এবং কোনো কারণবশত
ওর চাকরি চলে যায়। ছেলেটি নর্থ সাউথে পড়ে আর মেয়েটা পড়ে ড্যাফোডিল–এ।
অথচ ছেলেটা নিজেকে আর্মি ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেয়, আর মেয়েটা নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা
বলে পরিচয় দেয়। কোথাও কোথাও বলে যে সে নর্থ সাউথে পড়ে। এছাড়া এদের পরিচিত লোকদের
থেকে জানা যায়, ওদের বসুন্ধরাতে কয়েকটা বাসা ভাড়া নেওয়া। সব জায়গাতে তারা স্বামী–স্ত্রী
পরিচয়ে মাঝে মাঝে থাকে। বসুন্ধরার বাইরেও নাকি এদের বাসা আছে।”
উল্লেখ্য,
সাদ মুআ বিউটি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। মেকআপ টিউটোরিয়ালসহ বিউটি কেয়ারের নানা ধরনের
ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত তিনি।
ওআ/