রমজানে খেজুর আমদানিতে বড় ছাড়, শুল্ক কমালো সরকার

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম ধরে রাখার লক্ষ্যে আমদানিতে উল্লেখযোগ্য শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার। ধর্মপ্রাণ মানুষের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি কমিয়ে আনা হয়েছে, যা বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই শুল্ক ছাড়ের সুবিধা ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এনবিআরের মতে, রমজানকে সামনে রেখে খেজুরের চাহিদা বাড়ে। তাই আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের মাধ্যমে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ করাই এ সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য।
এছাড়া আগের বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর সংক্রান্ত বিধিমালায় পরিবর্তন আনা হয়। সেই অনুযায়ী খেজুরসহ সব ধরনের ফল আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত বছর খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে অগ্রিম আয়করের ওপর যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল, সেটিও চলতি বছর বহাল রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কাস্টমস ডিউটি ও অগ্রিম আয়কর—দুই ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য ছাড় দেওয়ায় খেজুর আমদানির খরচ কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে আমদানিকারকরা তুলনামূলক কম ব্যয়ে খেজুর আমদানি করতে পারবেন, যা শেষ পর্যন্ত খুচরা বাজারে দামের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিশ্বাস, এসব শুল্ক ও কর সুবিধার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে এবং বাজারদর সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এতে করে রমজানে ইফতারের অন্যতম প্রধান উপাদান খেজুর সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।








