Logo

বিগত বছরগুলোর ফলাফলে গলদ ছিল: আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:১৮
7Shares
বিগত বছরগুলোর ফলাফলে গলদ ছিল: আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিগত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে ত্রুটি ছিল, এবারের ফলাফল সেই বাস্তবতা স্পষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, এবারের ফলাফল সম্পূর্ণভাবে নিয়ম মেনে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনোভাবেই পাসের হার বাড়াতে ছাড় দেওয়া হয়নি।

ড. এহসানুল কবির বলেন, “এসএসসির পর এবার এইচএসসির ফলও দিলাম। কাউকে কোনো ছক বেঁধে দেওয়া হয়নি। সরকারের নির্দেশ ছিল, সব কিছু নিয়ম মেনেই হবে।”

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, “বিগত বছরগুলোর ফলাফলে গলদ ছিল। এবারের ফলাফলে সেটিই স্পষ্ট হয়েছে। খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি। পরীক্ষকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সততার সঙ্গে কাজ করেছেন এবং সন্তুষ্টও হয়েছেন।”

এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের ৭৭.৭৮ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানও কমে এসেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এমন প্রতিষ্ঠান ছিল ১ হাজার ৩৮৮টি, সেখানে ২০২৫ সালে তা নেমে এসেছে ৩৪৫টিতে।

বিজ্ঞাপন

তবে নারী শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স এবারও তুলনামূলক ভালো। এ বছর ছাত্রীদের মধ্যে উত্তীর্ণের সংখ্যা ছাত্রদের চেয়ে ৫৯ হাজার ২৩২ জন বেশি এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রীও বেশি, যা ছাত্রদের তুলনায় ৪ হাজার ৯৯১ জন।

২০২৪ সালের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। গত বছর যেখানে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল, এবার তা দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৯৭ জনে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে। ২০২৪ সালে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২টিতে।

শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ফলাফল অনলাইনে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবং এসএমএসের মাধ্যমে জানা যাবে। পাশাপাশি, ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে গ্রহণ করা হবে।

দেশের ১১টি বোর্ডের অধীনে এবার মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তবে প্রায় ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়নি।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষাবিদরা বলছেন, এবারের ফলাফলে শিক্ষার মান উন্নয়নের বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কের উন্নয়ন, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা এবং পরীক্ষার স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা এ ফলাফলকে বাস্তবধর্মী করেছে।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD