সামিরার সাক্ষাৎকারে সালমান শাহকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো

নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমার এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই অভিনেতা মাত্র সাড়ে তিন বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকদের মন জয় করে নিমিষেই নিভে যান চলচ্চিত্রের আকাশ থেকে।
বিজ্ঞাপন
ঢালিউডের ‘স্বপ্নের নায়ক’ সালমান শাহর ৫৪তম জন্মদিন শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। অল্প কয়েক বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটিয়ে দর্শক হৃদয়ে অমোচনীয় ছাপ রেখেছিলেন।
সালমান শাহর ভক্তরা জানেন তার জীবনযাপন, কাজের প্রতি ভালোবাসা, ব্যবহার ও দর্শন নিয়ে বিভিন্ন গল্প। তবে কীভাবে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন নামের এক যুবক হয়ে উঠলেন ‘সালমান শাহ’ সে গল্পটা অনেকের অজানা। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনক মৃত্যু হয় সালমান শাহর। মৃত্যুর পর ২১ বছর ধরে নীরব ছিলেন তার সাবেক স্ত্রী সামিরা।
আরও পড়ুন: আজ সপ্নের নায়ক সালমান শাহ’র জন্মদিন
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালে দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালমানের অনেক অজানা কথা ও চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য দিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ইমনের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকেই দেখেছি ওর শোবিজের প্রতি টান। ওর পরিবারেও অভিনয় ও সংগীতের প্রতি ভালোবাসা ছিল। পরিচালক আলমগীর কুমকুমের একটি ছবিতে ইমনের বাবা-মা নায়ক-নায়িকা হয়েছিলেন। যদিও ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। তাই বলা যায়, অভিনয়ের নেশাটা রক্তে ছিল।
১৯৯২ সালের জুলাইয়ের শেষের দিকে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান ইমন। প্রযোজক-পরিচালক বলেছিলেন, সিনেমার জন্য নতুন নাম নিতে হবে। ইমন প্রথমে সেই বিষয়টি শেয়ার করেন সামিরার সঙ্গে।
বিজ্ঞাপন
সামিরা বলেন, আমি বলেছিলাম, নিজের নামটা যেন পুরোপুরি বাদ না পড়ে। দুজনে ভেবে অবশেষে সালমান খানের নামকে বেছে নিলাম। কারণ তখন সালমান খানের খুব ক্রেজ। তাই সালমান খানের ‘সালমান’ আর ইমনের নামের ‘শাহরিয়ার’-এর ‘শাহ’ যোগ করে ঠিক করা হলো ‘সালমান শাহ’। সে খুব খুশি হয়েছিল নামটা শুনেই। খুব পছন্দও করেছিলাম নামটি। পরে সেই নামেই সে প্রতিষ্ঠা পায়।
১৯৯৩ সালে সালমান শাহ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ মুক্তি পায়। প্রয়াত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত সিনেমাটি দেখে মন্ত্রমুগ্ধের মতো আবিষ্কার করল এক নবাগত নায়কের অসাধারণ অভিনয়শৈলী। এমনি করে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা প্রেক্ষাগৃহ মুখী হলেন, পরিচালকরা হলেন আস্বস্ত। এমনি করে সুদিন ফিরে আসে বাংলার চলচ্চিত্রে। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি অচেনা অজানা সালমানকে। বাংলা চলচ্চিত্রের ত্রাতা হয়ে একে একে উপহার দিলেন দুর্দান্ত ২৭টি হিট সিনেমা।
বিজ্ঞাপন
প্রায় চার বছরের ক্যারিয়ারে সালমান সবচেয়ে বেশি সিনেমা করেছেন শাবনূরের সঙ্গে। সালমান-শাবনূর জুটির রসায়নে মন ভরে গিয়েছিল দেশের সিনেমাপ্রেমীদের। ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সেরা জুটিতে পরিণত হন তারা।