সংগীতেই প্রাণ, গানে গানে ছড়িয়ে পড়ছেন সুজানা রূপা

খুলনার মেয়ে সুজানা রূপা। সংগীত যার জীবন, যার ধ্যানজ্ঞান। প্রায় এক দশক ধরে সংগীতচর্চায় নিজেকে তৈরি করেছেন তিনি। এখন সেই সাধনার ফল মিলছে পরিপূর্ণতায়। গানে গানে জয় করে নিচ্ছেন শ্রোতাদের হৃদয়।
বিজ্ঞাপন
সুজানা রূপার কণ্ঠে যেন এক অদ্ভুত যাদু। আধুনিক গান হোক বা রোমান্টিক সুর সবই তিনি সহজে আয়ত্ত করতে পারেন। তার গায়কি ও কণ্ঠের কারুকাজ শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
বর্তমানে স্টেজ শো, টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই প্রতিভাবান শিল্পী। প্রতিদিনই কোনো না কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে সংগীত পরিবেশন করছেন তিনি। পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় অডিও কোম্পানিগুলোর সঙ্গেও নিয়মিত কাজ করছেন।
বিজ্ঞাপন
আধুনিক সংগীতের শিল্পী হিসেবে ইতোমধ্যেই সুজানা রূপা কয়েক শতাধিক গান পরিবেশন করেছেন, যা তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তুলেছে। ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত তার গান প্রকাশিত হচ্ছে। স্টেজ পারফরম্যান্সেও তিনি সমান দক্ষ, তার উপস্থিতি মানেই এক প্রাণবন্ত আয়োজন।
দেশের প্রখ্যাত ও গুণী গীতিকারের গান কণ্ঠে তুলেছেন তিনি। এখন তার লক্ষ্য বাংলা গানকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া। এজন্য আসন্ন শীত মৌসুমে তিনি দুবাই, কাতার, লন্ডন, মালয়েশিয়া ও নিউইয়র্কে একাধিক সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
দেশের খ্যাতনামা সুরকার ও মিউজিক ডিরেক্টরদের কাছেও এখন তিনি অন্যতম প্রিয় নাম। কাজের প্রতি তার নিষ্ঠা ও ডেডিকেশন তাকে শিল্পজগতে আলাদা অবস্থানে নিয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
এক সন্ধ্যায় সংগীত নিয়ে কথা হয় এই জনপ্রিয় শিল্পীর সঙ্গে। হাস্যোজ্জ্বল কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘সংগীত আমার ধ্যান জ্ঞান সব। আমি নিয়মিত রেওয়াজ করি। বাংলা গানকে বিশ্বমান দিতে চাই। তাইতো রাত দিন সংগীত সাধনা করছি। সংগীত মূলত গুরুমুখী বিদ্যা। তাই একজন শিল্পীর ভালো গুরু থাকা অতি আবশ্যক। সেই সাথে নিজের অদম্য প্রচেষ্টা থাকা অতিব জরুরি।’
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ফের ছোট পর্দায় স্বস্তিকা
আরও বলেন, ‘সংগীতের জন্য আমি আমার জীবনকে উৎসর্গ করেছি। যতদিন বাঁচবো সংগীত নিয়েই বাঁচবো। এর বাইরে আর কিছু ভাবতে পারি না। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’
বিজ্ঞাপন
সুজানা রূপার এই অদম্য প্রচেষ্টা ও নিবেদন প্রমাণ করে সংগীতের প্রতি তার অসীম ভালোবাসা। বাংলা সংগীতের আকাশে তিনি যেন এক উদীয়মান নক্ষত্র, যার আলো একদিন সমগ্র দেশকে গর্বিত করবে। যেমন গর্ব করা হয় সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, বেবী নাজনীন, শাকিলা জাফর ও আবিদা সুলতানাদের নিয়ে।