সোমালি জলদস্যুদের সামনে এখন ২টি পথ খোলা: পান্টল্যান্ড পুলিশ

জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি
বাংলাদেশি পতাকাবাহি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মি করা সোমালিয়ার জলদস্যুদের সাথে ভূমির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান শুরু করেছে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ। তারা বলছে, ‘দস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।’
শুক্রবার (২৩ মার্চ) দেশটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডারের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সোমালিএ খবর দিয়েছে।
পুলিশ কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ বলেছেন, “জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়।”
তিনি বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা হলো, জলদস্যুরা যাতে নিজেদের সংগঠিত করতে না পারে এবং এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যারা আছেন, তারা যাতে তীর থেকে আর কোনো সাহায্য না পান।”
আলী আহমেদ মারদুউফ বলেন, “জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি পথ আছে। হয় তাদের পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করবে। অথবা বিদেশি বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে।”
গেল বছরের নভেম্বর থেকে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুরা প্রায় ২ ডজন জাহাজে হামলা করেছে, তার মধ্যে সর্বশেষ দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গেল ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি।
নুগাল পুলিশপ্রধান মারদুউফ বিবিসিকে বলেন, “জাহাজ ও ক্রুদের বাঁচাতে যে কোনো অভিযানে অংশ নিতে তারা প্রস্তুত।”
জেবি/এসবি
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
