কাতারে হামলায় মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: মার্কো রুবিও

কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, এই ঘটনা গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টায় প্রভাব ফেলতে পারে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটেন ও ইসরায়েল সফরে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুবিও বলেন,
“অবশ্যই আমরা এ ঘটনায় খুশি নই, প্রেসিডেন্টও খুশি নন। তবে এতে আমাদের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন বদলাবে না। তবে আমাদের এ নিয়ে আলোচনা করতে হবে— বিশেষ করে, এর প্রভাব গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় কী হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার কারণে যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টায় নতুন কোনো ব্যাঘাতের মুখোমুখি হতে পারে। তবে তা তাদের ইসরায়েলের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক পরিবর্তনের পর্যায়ে নিয়ে যাবে না।
গত মঙ্গলবার দোহায় একটি আবাসিক কম্পাউন্ডে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলায় অন্তত পাঁচ হামাস সদস্য ও এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। নিহতরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
ইসরায়েলি হামলার পর কাতারকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে গাজায় যুদ্ধবিরতি আনা ও শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করতে কাতার যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
গাজায় দীর্ঘ দিনের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কাতারে হামাস নেতাদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি করলেও, মার্কো রুবিওর মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি তাদের ঐতিহ্যবাহী সমর্থন বজায় রাখবে এবং গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
