আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান

রাতভর তীব্র সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের সঙ্গে সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে পাকিস্তানি সেনাদের লক্ষ্য করে আফগান সেনারা হামলা চালানোর পর এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামাবাদ। আফগান পক্ষের দাবি, কাবুলে বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই পাল্টা অভিযান চালানো হয়।
রোববার সকালে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, সংঘর্ষে পাকিস্তানের অন্তত ৫৮ সেনা নিহত হয়েছে এবং ২৫টি সীমান্ত পোস্ট দখল করেছে আফগান বাহিনী।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনার পর পাকিস্তান আফগানিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তগুলো বন্ধ করে দেয়। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আফগান বাহিনীর ‘বিনা উসকানির হামলার’ জবাবে কঠোরভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে এবং ‘যথাযথ পাল্টা ব্যবস্থা’ নেওয়া হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রধান দুটি সীমান্ত—তোরখাম ও চামান—রোববার সকাল থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি খারালচি, আঙ্গুর আড্ডা এবং গুলাম খানের মতো ছোট সীমান্ত পথগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।
যদিও কাবুল এখনো সীমান্ত বন্ধের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, শনিবার মধ্যরাতেই তাদের সামরিক অভিযান শেষ হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, প্রায় ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। ইসলামাবাদের অভিযোগ, সীমান্তবর্তী আফগান অঞ্চলগুলো থেকে পাকিস্তানবিরোধী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে—যা কাবুল সব সময় অস্বীকার করে আসছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান কাবুলে বিমান হামলা চালায়। লক্ষ্য ছিল তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা। তবে তিনি ওই হামলায় নিহত হয়েছেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, টিটিপি পাকিস্তানে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে কট্টর ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ধারণা করা হয়, আফগান তালেবানের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, ইন্ডিপেনডেন্ট