লিবিয়ার উপকূলে ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার

লিবিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে গত দুই দিনে অন্তত ৬১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জরুরি সেবা সংস্থা ইমার্জেন্সি মেডিসিন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টারের বরাতে রবিবার (১২ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
সংস্থাটির হিসাবে, শুক্রবার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পশ্চিমে অবস্থিত উপকূলীয় এলাকা মেল্লিতাহ থেকে তিনজন ও জুওয়ারা অঞ্চল থেকে ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন জুওয়ারা, আবু কাম্মাশ ও মেল্লিথার উপকূলে আরও ৪৬ জনের মরদেহ পাওয়া যায়।
গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় লিবিয়ার উপকূল থেকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল একটি ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌযান, যাতে ছিলেন অন্তত ৭৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী— যাদের অধিকাংশই সুদানের নাগরিক। যাত্রার কিছুক্ষণ পর নৌযানটিতে আগুন লাগে এবং এরপর থেকে সেটির কোনো খোঁজ মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো সেই নৌযানেরই যাত্রীদের।
বিজ্ঞাপন
সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্ধারকৃত মৃতদেহগুলোর মধ্যে কয়েকটি ইতোমধ্যে দাফন করা হয়েছে, বাকিগুলো অটোপসির জন্য মর্গে রাখা আছে।
সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুট হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই লিবিয়া পরিচিত। মানবপাচারকারীরা এই পথ ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের নথিবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পাঠানোর চেষ্টা করে থাকে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম (IOM)–এর তথ্যমতে, বর্তমানে ত্রিপোলিসহ লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে ৪৫টি দেশের প্রায় ৮ লাখ ৯৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী বসবাস করছে। তাদের বেশিরভাগের লক্ষ্য একটাই— বিপজ্জনক সেই সাগরপথ পেরিয়ে ইউরোপে পৌঁছানো।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: রয়টার্স