চীনের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত খনিজ পদার্থের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে নতুন বিধিনিষেধ জারি করায় চীনের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বেইজিং যদি এই মাসের মধ্যে রপ্তানিবিধি শিথিল না করে, তাহলে আগামী ১ নভেম্বর থেকে চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার বেইজিং ঘোষণা দেয়, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহারের ঝুঁকি এড়াতে সামরিকভাবে দ্বৈত ব্যবহারের উপযোগী খনিজ পদার্থগুলোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
শনিবার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে চীনের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, “আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চীনের অবস্থান দিন দিন শত্রুতাপূর্ণ হয়ে উঠছে। তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো রপ্তানিনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। সামরিক খনিজের রপ্তানি সীমিত করা হলে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং বিশ্বের বহু দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “বেইজিং যদি এই অবস্থান থেকে না সরে আসে এবং রপ্তানিনীতিতে শিথিলতা না আনে, তাহলে নভেম্বর থেকে চীনের ওপর বর্তমান শুল্কের সঙ্গে আরও ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।”
উল্লেখ্য, গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুরু হয় ‘শুল্কযুদ্ধ’। সে সময় ট্রাম্প প্রশাসন চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১২৫ শতাংশে বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে দুই দেশ ৯০ দিনের জন্য বর্ধিত শুল্ক স্থগিত রাখে।
বিজ্ঞাপন
আগামী নভেম্বরেই সেই মেয়াদ শেষ হবে। ট্রাম্প যদি হুমকি বাস্তবায়ন করেন, তাহলে চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক দাঁড়াবে ২৪৫ শতাংশে।
সূত্র : আরটি