নিজ দেশে ভ্রমণ করলে আশ্রয় মর্যাদা বাতিল করবে গ্রিস

গ্রিসের অভিবাসন ও আশ্রয় মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, যে কেউ যদি শরণার্থী স্বীকৃতি পেয়ে নিজ দেশে সফর করেন, তার আশ্রয় মর্যাদা স্থগিত বা বাতিল করা হবে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি নতুন আশ্রয়নীতির অংশ, যাতে বুঝা যায় যে ব্যক্তিটি আর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে নেই।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নিপীড়ন বা নির্যাতন এড়িয়ে যারা গ্রিসে আশ্রয় পেয়েছেন, তারা যদি তাদের নিজ দেশে বা তৃতীয় কোনো দেশে ভ্রমণ করেন, তাহলে সেটি তার শরণার্থী মর্যাদার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করবে।
গ্রিসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, সুইজারল্যান্ডও সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, দেশটিতে আশ্রয়প্রার্থীদের নিজ দেশ বা তৃতীয় দেশে ভ্রমণের অনুমতি সীমিত করা হবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিস্থিতি, যেমন আত্মীয়ের মৃত্যু, এ ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতির আওতায় ভ্রমণ সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
গ্রিসের সরকার স্বীকৃত শরণার্থীদের জন্য সামাজিক সুবিধা কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। হেলিওস আবাসন কর্মসূচির ভর্তুকি পুরোপুরি বন্ধ করা হবে এবং বার্ষিক খরচ ৪০০ মিলিয়ন ইউরো থেকে কমে ২৮৮ মিলিয়ন ইউরো হবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আশ্রয়প্রার্থীদের সহায়তা শুধুমাত্র মৌলিক প্রয়োজন পূরণের জন্য সীমিত থাকবে। আর্থিক সহায়তা কমানো হবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত, এবং আবাসন সুবিধা শহরের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বরাদ্দকৃত অর্থ পেশাগত প্রশিক্ষণ ও গ্রিক ভাষা শেখার কোর্সে ব্যয় করা হবে।
বিজ্ঞাপন
অভিবাসন ও আশ্রয় বিষয়ক মন্ত্রী থানোস প্লেভরিস বলেন, "গ্রিসে আশ্রয় প্রাপ্তদের কাজের সুযোগ দেওয়া হবে, ভর্তুকি নয়। এতে শহরের কেন্দ্রে থাকা বাসাগুলো বাজারে ফিরে আসবে এবং শরণার্থীরা স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।"








