এবার জনসমক্ষে তরুণীর ওড়না ধরে টানাটানি

ভারতের উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের গোমতীনগর এলাকায় এক তরুণীকে প্রকাশ্যে উত্ত্যক্ত করার ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
ভিডিওটিতে দেখা যায়, রাতে রাস্তায় এক যুবক ওই তরুণীর ওড়না ধরে টানছেন ও তাকে জোর করে থামানোর চেষ্টা করছেন। ঘটনাস্থলে কয়েকজন উপস্থিত থাকলেও কেউ কোনোভাবে এগিয়ে আসেননি। একপর্যায়ে একজন বাইক আরোহী বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানালে তরুণী দ্রুত নিজেকে ছাড়িয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন সমাজবাদী পার্টির নেতা ও কৌশাম্বীর সংসদ সদস্য পুষ্পেন্দ্র সরোজ। তার পোস্টের পর ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয় এবং নিন্দার ঝড় ওঠে সামাজিকমাধ্যমে।
বিজ্ঞাপন
তবে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর লখনউ পুলিশ জানায়, এটি কোনো অপরাধমূলক ঘটনা নয়, বরং পারিবারিক বিরোধ থেকে ঘটেছে। পুলিশের দাবি, ৩ নভেম্বর ওই তরুণী অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তার ভাগনে তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে তিনি পরিবারের কাছে ফিরে যান। পুলিশের ভাষায়, সামাজিকমাধ্যমে প্রচারিত অভিযোগগুলো “ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।”
কিন্তু পুলিশের এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—“পারিবারিক বিরোধ থাকলেই কি প্রকাশ্যে একজন নারীকে এইভাবে আচরণ করা স্বাভাবিক হতে পারে?”
বিজ্ঞাপন
সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনরা পুলিশের দ্রুত সাফাই দেওয়ার কারণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ বলছেন, ঘটনাটি যদি সত্যিই পারিবারিক হয়, তাহলে তা প্রমাণের আগে পুলিশ কেন এমন ব্যাখ্যা দিচ্ছে?
ভিডিওটি ঘিরে বিতর্কে আবারও সামনে এসেছে উত্তরপ্রদেশে নারীর নিরাপত্তা এবং জনসমক্ষে যৌন হয়রানি মোকাবিলায় পুলিশের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন।








