বন্ধুর সঙ্গে পরকীয়ায় মত্ত স্ত্রী, এরপর যে কাণ্ড ঘটালেন যুবক

ভারতের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ায় এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীকে বিয়ে দিয়েছেন স্বামী নিজেই।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি সোমবার (১০ নভেম্বর) সাঁইথিয়ার সতীপীঠ নন্দিকেশ্বরীতলায় ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পেশার কারণে বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন স্বামী বাপি মণ্ডল। সংসারের খরচের টাকা তিনি তার বন্ধু জিৎয়ের হাতে দিতেন, যাতে সে বাপির স্ত্রী সঞ্চারীর কাছে পৌঁছে দেয়। কিন্তু এই সময়েই সঞ্চারী ও জিৎ পরক প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
বিজ্ঞাপন
বাপি মণ্ডলের স্ত্রী সঞ্চারী তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে বাপের বাড়িতে চলে যান। ওই মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। প্রায় আট মাস ধরে সঞ্চারী বাপের বাড়িতেই ছিলেন।
সোমবার বাপি দেখতে পান, তার স্ত্রী সঞ্চারী ও বন্ধু জিৎ একসঙ্গে মোটরবাইকে ঘুরছেন। তখন তিনি তাদের ধরে নিয়ে যান নন্দিকেশ্বরীতলায়। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সেখানেই আয়োজন করা হয় তাদের বিয়ের কার্যক্রম।
বাপি বলেন, অনেক দিন ধরেই অনুমান করছিলাম। কিন্তু ছেলের ভবিষ্যৎ আর লোকলজ্জার ভয়ে কিছু বলিনি। আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা চললেও, আমি চাই সবাই যেন শান্তিতে থাকুক। তাই পুলিশকে সাক্ষী রেখে ওদের বিয়ে দিলাম।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে পুলিশ মোতায়েন করেছে জার্মানি
তিনি বলেন, সে যখন আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, তখন এটাই ভালো। এখন আমার বউ, বন্ধুর বউ। আমি মুক্ত।
জিৎ বলেন, আমাদের প্রেম অনেক দিন ধরেই চলছিল। বিয়ের পরিকল্পনাও ছিল। বন্ধুকে বলতে পারছিলাম না, এখন সবকিছু প্রকাশ্যে হলো। যা হয়েছে, তা ভালোই হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তবে সাত বছরের ছেলে এখন বাপি মণ্ডলের কাছেই রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অনেকে বলছেন, এমন ঘটনা সিনেমাতেও দেখা যায় না। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।








