হজযাত্রীদের তীব্র গরম থেকে সুরক্ষায় ‘কুলিং ইহরাম’ আনল সৌদি

হজ ও ওমরাহ শুধু শারীরিক যাত্রা নয়, এটি ভক্তি, ধৈর্য্য এবং আধ্যাত্মিকতার এক গভীর অভিজ্ঞতা। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ হজযাত্রী সৌদি আরবে আসেন আধ্যাত্মিক স্বপ্ন পূরণের জন্য।
বিজ্ঞাপন
তবে তীব্র গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় পবিত্র স্থানগুলোতে চলাচল, প্রার্থনা ও আচার-অনুষ্ঠান পালন করা অনেকের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। এই সমস্যা কমাতে সৌদি আরব এবার হাজীদের জন্য নিয়ে এসেছে যুগান্তকারী নতুন উদ্ভাবন: ‘কুলিং ইহরাম’।
নতুন এই পোশাকটি দেখতে একইভাবে সাদা, বিনয়ী এবং ঐতিহ্যবাহী ইহরামের মতো, কিন্তু এর আসল বিশেষত্ব লুকানো আছে কাপড়ের ফাইবারে। উন্নত ফাইবার ব্যবহার করে তৈরি পোশাকটি সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করে, বায়ু চলাচল বাড়ায় এবং দীর্ঘ সময় বাইরে থাকার সময় শরীরকে স্বাভাবিকভাবে শীতল রাখে। এছাড়া কাপড়টি ঘাম দ্রুত শোষণ করে এবং দ্রুত শুকিয়ে যায়, ফলে হজযাত্রীদের পোশাক ভারী বা সেঁটে থাকার অনুভূতি হয় না।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘কুলিং ইহরাম’ ত্বকের উপর অনুভূত তাপ কমায় এবং হজের শারীরিক চাপ কমিয়ে আধ্যাত্মিকতার ওপর মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি বয়স্ক ও অসুস্থ হজযাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক, কারণ দীর্ঘ সময় হাঁটা-দাঁড়ানোর কারণে ডিহাইড্রেশন ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।
কাপড়ের নেপথ্যে থাকা প্রযুক্তি তিনটি মূল নীতির উপর কাজ করে- সূর্যের তাপের একটি অংশ প্রতিফলিত করে শরীরকে শীতল রাখা; ত্বক থেকে ঘাম দ্রুত দূর করে প্রাকৃতিক বাষ্পীভবন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং দ্রুত শুকিয়ে যায় যাতে হজযাত্রী ভেজা বা অস্বস্তিকর অনুভব না করেন।
‘কুলিং ইহরাম’ কোনো এয়ার কন্ডিশনারের মতো কার্যকর নয়; এটি শরীরের প্রাকৃতিক শীতলীকরণ প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। এর পাশাপাশি, পোশাকটির নকশা সম্পূর্ণভাবে ঐতিহ্যবাহী ইহরামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা হয়েছে, কোনো আলংকারিক পরিবর্তন বা ধর্মীয় রীতির ব্যত্যয় করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
হজযাত্রীদের জন্য এই উদ্ভাবন শুধু আরামদায়ক নয়, এটি দীর্ঘ প্রার্থনার সময় স্থিতিশীলতা, সতেজতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সৌদি কর্তৃপক্ষের এই নতুন উদ্যোগ আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর আরও বেশি হজযাত্রী নিরাপদ ও আরামে হজ পালন করতে পারবেন।








