২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত

পেরুতে বিশ্বখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র মাচু পিচু যাওয়ার পথে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রাচীন ইনকা নগরীর দিকে যাওয়ার একক রেললাইনে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক চালক নিহত এবং অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আহতদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই রুটে এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স উদ্ধার কাজে পাঠানো হয়েছে। আহতদের কুসকো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পেরুতে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রয়েছেন। তবে পুলিশ এখনও হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করেনি। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কারণে উদ্ধারকাজে বিলম্ব হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
দুর্ঘটনা ঘটে মাচু পিচু যাওয়ার প্রধান প্রবেশদ্বার আগুয়াস কালিয়েন্তেস এবং অলানতায়তাম্বো স্টেশন এর মাঝামাঝি এলাকায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পেরু২১ জানায়, দুর্ঘটনার পর এখনো পাহাড়ের খাঁজে শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুটির একটি পরিচালনা করছিল পেরুরেইল, অন্যটি ইনকা রেল।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন মাচু পিচুর যাতায়াত ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরিবহন সংস্থাগুলোর মধ্যে তীব্র বিরোধ চলছিল। ট্রেন ও বাসের টিকিটের দাম অত্যধিক এবং যাতায়াত ব্যবস্থা সীমিত হওয়ায় ব্যবসাটি অত্যন্ত লাভজনক ও প্রতিযোগিতামূলক। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবহন লাইসেন্স প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয় এবং মুনাফার নেশায় পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রায়শই উপেক্ষিত হয়ে থাকে।
বিজ্ঞাপন
মাচু পিচু, যা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য, প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আকর্ষণ করে। ১৫শ শতকে আন্দিজ পর্বতমালায় নির্মিত এই ইনকা নগরীটি বিশ্বের অন্যতম সপ্তাশ্চর্য। ২০১১ সাল থেকে পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার নিয়ম থাকলেও, পর্যটনের চাপ ও সীমিত যাতায়াত ব্যবস্থা প্রাচীন স্থাপনা এবং যাতায়াত পথকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।








