প্রতিদিন বিটরুট খেলে যেসব উপকার পাবেন

বিটরুট সুপার ফুড হিসেবে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই রঙিন সবজি মানুষের শরীরে নানা ধরনের উপকার করে। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ত্বক, হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিজ্ঞাপন
বিটরুটে রয়েছে রিবোফ্লাবিন, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিংক, আয়োডিন, ভিটামিন এ, বি৬, সি, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামসহ নানা উপকারী উপাদান।
প্রতিদিন বিটরুট খেলে যে উপকারগুলো পাওয়া যায় চলুন জেনে নিই-
১.ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক:
বিজ্ঞাপন
বিটরুটে থাকা উদ্ভিদ রঙ্গক ‘বেটাসায়ানিন’ শুধু এর উজ্জ্বল লাল রঙের জন্য নয়, বরং মূত্রাশয় ক্যানসারসহ কিছু ক্যানসারের বিকাশ রোধেও সহায়তা করে। এতে থাকা ফেরিক অ্যাসিডসহ বিভিন্ন ক্যানসার প্রতিরোধী যৌগ শরীরকে সুরক্ষা দেয়।
আরও পড়ুন: যে কারণে শীতকালে স্ট্রবেরি খাবেন
২.প্রদাহ কমায়:
বিজ্ঞাপন
বেটালাইনস নামক উপাদান প্রদাহের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথা বা জয়েন্টের ফোলাভাব কমাতেও এটি কার্যকর।
৩.রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:
বিটরুটে থাকা প্রাকৃতিক নাইট্রেট রক্তনালী শিথিল করে রক্তপ্রবাহ উন্নত করে এবং রক্তচাপ কমায়। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
বিজ্ঞাপন
৪.অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর:
বিটরুট বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দশটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজির একটি। এটি শরীরকে ক্ষতিকর অক্সিডেশন প্রক্রিয়ার প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
৫.হজমে সহায়ক:
বিজ্ঞাপন
বিটরুটে থাকা ফাইবার ও বেটাওয়েন অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কার্যকারিতা বাড়ায়, ফলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
৬.অন্ত্রের সুরক্ষায়:
গ্লুটামিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিডের অন্যতম উৎস বিটরুট। এটি অন্ত্রের আস্তরণকে আঘাত বা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
বিজ্ঞাপন
৭.মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম ও বিটরুট খাওয়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে মানসিক সতেজতা বজায় রাখে।
বিজ্ঞাপন
৮.মেনোপজ পরবর্তী সুস্থতায়:
মেনোপজের পর নারীদের রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই সময় নাইট্রেট সমৃদ্ধ বিটরুট খাদ্যতালিকায় রাখলে তা শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক।
৯.রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে:
বিজ্ঞাপন
আঙুল ও পায়ে রক্ত সঠিকভাবে না চললে ব্যথা বা অসাড়তা দেখা দেয়। বিটরুটের রস রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
১০.শক্তি বৃদ্ধি করে:
ব্যায়ামের পর পেশি ক্লান্ত হয়ে পড়লে বিটরুটের নাইট্রেট পেশি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনে।
বিজ্ঞাপন
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিয়মিত খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণে বিটরুট খেলে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা, ত্বকের সৌন্দর্য ও মানসিক সতেজতা বাড়ে।








