রেইজ প্রকল্পের প্রকল্প কার্যক্রম আবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনার

প্রবাসীরা এতোদিন আমাদের দিয়েছে, এবার আমরা তাদের দিবো
বিজ্ঞাপন
সাতক্ষীরায় রেইজ প্রকল্পের প্রকল্প কার্যক্রম আবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) বেলা ৩টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও খুলনা ওয়েলফেয়ার সেন্টারের যৌথ আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে রেইজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক জাহিদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আইসিটি মঈনুল ইসলাম মঈন।প্রত্যাগত অভিবাসী, ফিরে এলেও পাশে আছি স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত সেমিনারে খুলনা ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কাউন্সিলর মঈন আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা লিগাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন ফরাজী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, খুলনা ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সহকারী পরিচালক ফসিউল আলম, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তফা জামান, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোহিনূর ইসলাম, সাতক্ষীরা টিটিসির অধ্যক্ষ কেএম মিজানুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এসমত আরা, প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. এসএসম মাহবুবুর রহমান, জেলা প্রশাসনের প্রবাসী কল্যাণ শাখার সহকারী কমিশনার নুসরাত জাহান অনন্যা বিসিকের উপব্যবস্থাপক গৌরব দাশ, সাংবাদিক গোলাম সরোয়ার, জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব সাকিবুর রহমান বাবলা প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বক্তরা বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আমাদের অহংকার। প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন আর প্রবাসীরা তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন এজন্য তাদেরকে রেমিটেন্স-যোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করা হয়। দেশের সীমানার বাইরে দেশের মানবৃদ্ধিতে এই প্রবাসীরাই পালন করতে পারেন ঐতিহাসিক দায়িত্ব। শুধু তাই নয় তারা দেশের রিজার্ভও ঠিক রেখেছেন। করোনাকালীন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা ফেরত আসতে থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেকে রেইজ প্রকল্প পাশ করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
বিজ্ঞাপন
সে সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘প্রবাসীরা এতোদিন আমাদের দিয়েছে, এবার আমরা তাদের দিবো।’ প্রবাসীরা বাড়ি ফিরে যাতে হতাশ না হয় সেজন্য ২০২০ সালে তিনি প্রকল্পটি উপহার দেন। এপর্যন্ত এই প্রকল্পে ১ লাখ ৭৭হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছে। খুলনা ওয়েলফেয়ার সেন্টারের আওতায় খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে চার হাজার ৮১০ জন রেজিস্ট্রশন করেছে। তার মধ্যে সাতক্ষীরার আছে দুই হাজার ২২৩জন।বক্তরা আরও বলেন, অনেকে মানুষ দালালের মাধ্যমে যেয়ে থাকে অনেকে কাজ না শিখে যাওয়া কারণে প্রতারিত হচ্ছে। দল মত নির্বিশেষে সকল প্রবাসীদের মূল্যায়ন করে তাদের দেশের কাজে লাগাতে হবে। সরকারি মাধ্যমে দক্ষ হয়ে বিদেশে গেলে সেকল শ্রমিকরা সমস্যায় পড়বে না। আর কেউ বিপদে পড়লে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো।
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি
বিজ্ঞাপন








