‘প্রাণী সুস্থতা নিশ্চিত না হলে মানুষের স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওয়ান হেলথ কনসেপ্টকে ধারণ করে সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ ওয়ান হেলথ নিয়ে আমরা এখনো লড়াই করছি। আমরা সবসময় মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবি। কিন্তু প্রাণী ও পরিবেশের সুস্থতা নিশ্চিত না হলে মানুষের স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়।
বিজ্ঞাপন
উপদেষ্টা আজ বিকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)-এর সম্মেলন কক্ষে ১৭তম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন -২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় প্রজাতির গুরুত্ব তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের স্থানীয় জাতের গবাদিপশুগুলোর সহনশীলতা অনেক বেশি। বিদেশি জাত এনে উৎপাদন বাড়ানো গেলেও তাতে আমাদের নিজস্ব জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, উন্নয়ন হতে হবে টেকসই এবং তা হতে হবে স্থানীয় জ্ঞান, সংস্কৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।
তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রশংসা করে উপদেষ্টা বলেন, তরুণদের জ্ঞান, চিন্তা ও অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রা ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলনগুলোর প্রতি মানুষের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেশের গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার ইতিবাচক দিক নির্দেশ করে।
বিজ্ঞাপন
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, গ্রামাঞ্চলে গরু-ছাগল শুধু অর্থনৈতিক সম্পদ নয়—এগুলো পরিবারের জীবিকা ও আবেগের অংশ। কোনো পরিবার যদি তাদের গরু বা ছাগল হারায়, সেটি শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, মানুষিক আঘাতও বটে। একজন ভেটেরিনারি সার্জনের দায়িত্ব কেবল প্রাণী চিকিৎসা নয়, সেই পরিবারের মনোবল ফিরিয়ে আনা।
সিভাসু'র উপাচার্য ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ওমর ফারুক ইউসুফ। সম্মেলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।








