বিদেশ ফেরত রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করছে রেইজ

প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে অত্র বোর্ড নানা ধরণের কার্যক্রম/কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে
বিজ্ঞাপন
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডপ্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনেবিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে রেইজ এর উদ্যোগে অবহিতকরণ বিষয় এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরজানা বহমান।
বিজ্ঞাপন
সেমিনারে প্রকল্পের কার্যক্রম পস্থাপন করেন ওয়েজ আর্নার কক্সবাজার সেন্টারের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার ইকবাল হোসেন।সেমিনারে ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন রেইজ প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব সৌরেন্দ্র সাহা।
বিজ্ঞাপন
সেমিনারে জানানো হয় বিশ্বের ১৭৮টি দেশে কর্মরত প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষের অধিক বাংলাদেশি কর্মী জীবিকার তাগিদে কর্মরত আছেন। তাদের রক্ত ও ঘামে অর্জিত রেমিটেন্স দেশে প্রেরণ করে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন। এ সকল কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সার্বিক কল্যাণে বোর্ড দেশে-বিদেশে নানাবিধ সেবা প্রদান কর আসছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, যুদ্ধাবস্থা (যেমন: লিবিয়া, ইরাক ও সুদান সংকট) এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে ( কোভিড-১৯) প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে অত্র বোর্ড নানা ধরণের কার্যক্রম/কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে ২০২০ সালে বিভিন্ন দেশ হতে কাজ হারিয়ে প্রায় ০৫ লক্ষ অভিবাসী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। প্রত্যাগত অধিকাংশ কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়ে এবং সমাজে নানা ধরণের প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে থাকে। এতে অনেকেই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এসব সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ উদ্যোগ ও নির্দেশনায় বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় রেইজ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে সারা দেশে অভিবাসী অধ্যুষিত ৩০টি জেলায় ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের প্রধান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হল আইওএম বাংলাদেশ এবং সাব কনসালট্যান্ট হিসেবে আরো ০৭টি প্রতিষ্ঠান (ব্র্যাক, ওয়্যারবি, রামরু, ওকাপ, বিএনএসকে, প্রত্যাশী ও কেএনইউএস) বিভিন্ন সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করে যাচ্ছে।
সেমিনারে আরো জানানো হয় "প্রত্যাগত অভিবাসী ফিরে এলেও পাশে আছি” এই শ্লোগানকে সামনে রেলে ওয়েলফেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে প্রত্যাগত কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণ তথা আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তাদের নিবন্ধনভুক্তকরণ এবং কাউন্সিলিং প্রদাপূর্বক ০২ লক্ষ প্রত্যাগত কর্মীর ডাটাবেইজ প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে এককালীন নগদ ১৩,৫০০/- টাকা নগদ প্রণোদন (ক্যাশ ইনসেনটিভ) দেয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া রেফারেল সার্ভিসের আওতায় কর্মীদের চাহিদানুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত প্রশিক্ষণ/আখির কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্তি অথবা ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তিতে সহযোগিতার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
উদ্যোক্তারা এই বিশাল কর্মক্রম বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন। সেমিনার আরো বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার জাহিদ হাসান ও কৃষি কর্মকর্তা কৌসিক।
বিজ্ঞাপন
সেমিনারে ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করে রেইজ প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব সৌরেন্দ্র সাহা বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখার অন্যতম চালিকাশক্তি রেমিটেন্স আহরণকারী বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের জন্য গৃহীত পুনঃএকত্রীকরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সরকারের পাশাপাশি সকলের সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করেন। এতে প্রবাস ফেরৎ কর্মীগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট' বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি








