বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ওমেরা রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়াগুলোতে সোলার সিস্টেম স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও ওমেরা রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস এবং ওমেরা রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মাসুদুর রহমান স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নির্দেশনার আলোকে সম্পন্ন হয়। তার নির্দেশনা অনুসারে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (IDCOL) পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়াগুলোর ছাদে সৌরশক্তি উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সমীক্ষা পরিচালনা করে।
IDCOL-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সার্ভিস এরিয়া-১ এ ১,৯৬৬ কিলোওয়াট পিক (kWp), সার্ভিস এরিয়া-২ এ ২,৯৪৮ kWp এবং সার্ভিস এরিয়া-৩ এ ১,১১৯ kWp—মোট ৬,০৩৩ kWp বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
ওমেরা রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডের সাথে ২৩ কোটি ৫৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা মূল্যের এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে অর্থাৎ ১৪ মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে কাজটি শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০% এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০% নবায়নযোগ্য উৎস থেকে পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ গ্রহণ করেছে।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়াগুলোতে সোলার সিস্টেম স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নেট মিটারিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় হওয়ায় খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
