ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অবনতির কারণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি ও আঞ্চলিক জোট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, সার্জিও গোর সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বারা ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান। তার সঙ্গে আলাপকালে ড. ইউনূস ভারতের প্রতি কড়া সমালোচনা করেন এবং সম্পর্কের অবনতির কারণ ব্যাখ্যা করেন।
ড. ইউনূস বলেন, গত বছর তরুণদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, ভারত সেটিকে ইতিবাচকভাবে নেয়নি। বরং ভারতীয় গণমাধ্যমে নানা ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব প্রতিবেদনে আন্দোলনকে ইসলামি আন্দোলন বলে প্রচার করা হয়েছিল, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়াও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতির একটি বড় কারণ। তার দাবি, শেখ হাসিনা বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে অস্থিরতা তৈরির অন্যতম উৎস।

একই বৈঠকে ড. ইউনূস আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট সার্ক পুনর্জ্জীবিত করার ওপর জোর দেন। তবে তার অভিযোগ, ভারতের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে সার্ক সক্রিয় হতে পারছে না।
আরও পড়ুন: বিইউপিতে ‘ডিএমএক্স ৪.০’ সমাপনী অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সার্ক স্থবির হয়ে আছে, কারণ একটি দেশের রাজনীতি এর সঙ্গে মেলেনি।” পাশাপাশি তিনি এশিয়ার আরেক আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে যোগদানের আগ্রহও প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ সার্ক সম্মেলন হয়েছিল ২০১৪ সালে। এরপর ২০১৬ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলন উরির সন্ত্রাসী হামলার পর বাতিল হয়ে যায়। তখন থেকে কার্যত সার্ক নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। ভারত বরং বিমসটেককে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে, যেখানে বাংলাদেশও সদস্য।
সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।