সেপ্টেম্বরে ২২৪ নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার

সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে নারী ও কন্যা শিশুদের ওপর সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত মাসে মোট ২২৪ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু পাঠানো নারী ও কন্যা নির্যাতন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বর মাসে ৩২ জন কন্যা ও ২১ জন নারীসহ মোট ৫৩ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২৮ জন কন্যা ও ১২ জন নারী একক ধর্ষণের শিকার, ৪ জন কন্যা ও ৮ জন নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এবং একজন নারী ধর্ষণের পর নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া, ১১ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৯ জন কন্যা। একই সময়ে ৬৪ জন নারী ও কন্যা হত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন কন্যা। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন আরও ২ জন (একজন কন্যা ও একজন নারী)।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রহস্যজনকভাবে ২২ জন নারী ও কন্যার মৃত্যু ঘটেছে, আত্মহত্যা করেছেন ১৫ জন, এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন ১ জন। যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৯ জন, এর মধ্যে ১০ জন যৌন নিপীড়ন, ৬ জন উত্ত্যক্তকরণ ও ৩ জন সাইবার সহিংসতার শিকার।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, অ্যাসিড হামলায় ১ জন নারী নিহত এবং ১ জন নারী অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। গৃহকর্মী ২ জন নারী, ১১ জন শারীরিক নির্যাতনের শিকার, ৭ জন অপহৃত এবং ১ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন।
বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছেন ১ জন কন্যা, আরও ২ জনকে বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের ঘটনায় ৩টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে, এর মধ্যে ২ জন নির্যাতনের শিকার এবং ১ জন নারী যৌতুকের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, এসব ঘটনার অধিকাংশই সমাজে নারীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য, আইনি প্রক্রিয়ার জটিলতা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবের কারণে ঘটছে। তারা এসব ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে।