‘দেশের সংকটময় সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরি’

দেশের বর্তমান সংকটকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা আরও জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশন (এফআইডিএইচ)-এর প্রেসিডেন্ট অ্যালিস মোগওয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকালে দুই নেতা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক মানবাধিকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আলোচনায় ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনশীল সময় পার করছে। এই সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।”
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণের সময় তিনি বিশ্বের বহু মানবাধিকারকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ড. ইউনূস বলেন, “আমি তাদের আহ্বান জানিয়েছি। বাংলাদেশে আসুন, দেশের বাস্তব পরিস্থিতি কাছ থেকে দেখুন। কারণ আমরা এখন একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে আছি।”
বিজ্ঞাপন
আলোচনায় তিনি তার প্রয়াত বন্ধু ও দক্ষিণ আফ্রিকার নোবেলজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর কথাও স্মরণ করেন এবং ন্যায়বিচার ও মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তাদের যৌথ অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।
এফআইডিএইচ প্রেসিডেন্ট অ্যালিস মোগওয়ে বলেন, “বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এখন পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় উদ্দীপ্ত। যা একটি ইতিবাচক সংকেত।”
তিনি জানান, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় যেভাবে কাজ করছে, তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসনীয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নতুন পে-স্কেলে কমছে গ্রেড, বাড়ছে বেতন
মোগওয়ে অতীত সরকারের সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় রোধে এফআইডিএইচ বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং এ বিষয়ে ড. ইউনূসের অবিচল অবস্থানের প্রশংসা করেন।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য তিনি প্রতিদিন প্রার্থনা করেন এবং দেশের জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর সিনিয়র গবেষক তাসকিন ফাহমিনাও উপস্থিত ছিলেন।