Logo

‘রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও রয়ে গেছে সামাজিক ফ্যাসিবাদ’

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১৮:০২
8Shares
‘রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও রয়ে গেছে সামাজিক ফ্যাসিবাদ’
ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটলেও সামাজিক ফ্যাসিবাদ এখনো বিদ্যমান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছে, কিন্তু যদি তাদের মধ্যে সংলাপের সুযোগ না থাকে, তাহলে তা রাষ্ট্রের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর নয়। এখন আমাদের প্রধান দায়িত্ব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদকে মোকাবিলা করা।

শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘মাকাম: সেন্টার ফর সুফি হেরিটেজ’।

বিজ্ঞাপন

মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের নামে রাজনীতি করা অনেকেই ইসলামের হাজার বছরের ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের এই মনোভাবই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদকে আরও জটিল করেছে। ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক আলোচনার বাইরে রাখার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তা রোধ করতে না পারলে এই সংকট আরও গভীর হবে।

তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে দেশের বিভিন্ন মাজার ও দরবারে যে হামলা হয়েছে, তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া যদি তৈরি হয়, তা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করবে। তাই যেকোনো মূল্যে এই সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আইনজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মানজুর আল মতিন, লেখক ও গবেষকসহ দেশের বিভিন্ন মাজারের প্রতিনিধিরা।

বিজ্ঞাপন

ড. আয়াতুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ অলি-আউলিয়ার দেশ। এখানে সব ধর্ম ও মতের মানুষ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। আমাদের সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির এই ঐতিহ্য রক্ষা করা এখন জরুরি।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, মাজারে হামলার ঘটনাগুলো এখনো ট্যাবু হিসেবে দেখা হয়। এই নীরবতা ভাঙতে হবে। রাষ্ট্রকে স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে এসব ঘটনার তদন্ত ও পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মানজুর আল মতিন বলেন, কুরআনের নাম ব্যবহার করে মাজারে হামলা চালানো অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি ইসলামের মূল চেতনার পরিপন্থী। এই সহিংসতা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি ভয়াবহ সংকটে পড়বে।

অনুষ্ঠানে মাকামের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়, মাজার সংস্কৃতি বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা এখন ধারাবাহিক হামলার মুখে হুমকির সম্মুখীন। সুফি সমাজের ওপর আঘাত মানে মূলত দেশের সংস্কৃতি ও মানবিক চেতনার ওপর আঘাত।

সংলাপের শেষে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সারাদেশে মাজারে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনাগুলো নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD