সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিদেশ সফর সীমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শুধুমাত্র একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনো কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সাম্প্রতিক পরিপত্রে।
বিজ্ঞাপন
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জারি করা পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদেশ সফর সংক্রান্ত পূর্ববর্তী নির্দেশনা ও অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠিতে বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক মন্ত্রণালয় ও দপ্তর এখনো তা যথাযথভাবে অনুসরণ করছে না।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, একই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। এমনকি একাধিক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন, যা আগের নির্দেশনার পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: আজ থেকে জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু
বিজ্ঞাপন
এ পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী সব পরিপত্রের নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনের পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সময় পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ সফর থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন এই নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সব উপদেষ্টার একান্ত সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় পাঁচ দফা নির্দেশনা জারি করেছিল।
বিজ্ঞাপন
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. মন্ত্রণালয়/দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সরাসরি পত্র যোগাযোগ না করে মন্ত্রণালয়ের সচিব বা দপ্তর/সংস্থা প্রধানের মাধ্যমে পত্র যোগাযোগ করবেন।
২. মন্ত্রণালয়/দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবেন।
বিজ্ঞাপন
৩. সব কর্মকর্তাকে বিধি মোতাবেক বিদেশ যাত্রার আগে নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম
৪. বিদেশি সংস্থার সঙ্গে আমন্ত্রণ বিষয়ক কোনো যোগাযোগের পূর্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী দপ্তর/সংস্থা প্রধানের পূর্বানুমতি গ্রহণ করবেন।
বিজ্ঞাপন
৫. বিদেশি সংস্থা থেকে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রের প্রেক্ষিতে বর্ণিত ইভেন্টে/সভা/সেমিনারের সঙ্গে পেশাগত উন্নতি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাজ ও উদ্দেশ্য এবং জনস্বার্থের কোনো সংযোগ রয়েছে কি না সে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে।
সরকারি সূত্র জানায়, নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় রোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।








