ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ, জুলাই সনদে সই করেনি ৫ রাজনৈতিক দল

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, সনদটি ইতোমধ্যে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব দল এখনো সই করেনি, তারা চাইলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সই করতে পারবে।

গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশ সংস্কারের জন্য ছয়টি পৃথক কমিশন গঠন করেছিল সরকার। এসব কমিশনের প্রধান ও সদস্যদের সমন্বয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি ছয় মাস মেয়াদি ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়।

আরও পড়ুন: ৩ দফা দাবিতে শাহবাগে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথম দফায় ২২ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৪৪টি বৈঠকে ৬২টি সংস্কার বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছে কমিশন। পরে ৩ জুন শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফা সংলাপে আরও ২২টি মৌলিক সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য গঠিত হয়। সবমিলিয়ে ৮৪টি সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে জুলাই সনদ তৈরি করা হয়।

কমিশনের মেয়াদ প্রথমে আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। শেষ পর্যন্ত ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনের কার্যক্রম চলার অনুমতি দেওয়া হয়।

১৭ অক্টোবর সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে, পরদিন আরও একটি দল যোগ দেয়। তবে এনসিপিসহ পাঁচটি দল সই থেকে বিরত থাকে।

আরও পড়ুন: ‘আমার লোক-তোমার লোক’ ধারার বাইরে আসতে হবে: আসিফ নজরুল

২৮ অক্টোবর কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ এবং সংবিধান সংস্কারের খসড়া সরকারের কাছে জমা দেয়। কমিশনের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দলগুলো চাইলে সনদে সই করতে পারবে।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন জানিয়েছেন, জুলাই সনদের আইনি আদেশ জারির পর দলীয়ভাবে সইয়ের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, বৃহস্পতিবার কমিশনের কার্যালয়ের একাংশ সংসদ সচিবালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, বাকিটুকু আগামী রবিবার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।