‘রিটার্নিং কর্মকর্তা পুরো আসনের ভোটগ্রহণ বাতিল করতে পারবেন’

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, নতুনভাবে সংশোধিত প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী এখন থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোটগ্রহণ বাতিলের ক্ষমতা পাবেন। তবে এই ক্ষমতা যেনতেনভাবে নয়, বরং যৌক্তিক কারণেই প্রয়োগ করতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় পটুয়াখালীর কলাপাটার কুয়াকাটা কোডেক ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার বিষয় ছিল- ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নতুন আইনে রিটার্নিং কর্মকর্তার পাশাপাশি প্রিসাইডিং অফিসারেরও ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। কোনো কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার যদি মনে করেন ভোটগ্রহণে অনিয়ম বা অশান্তির কারণে ফল ঘোষণা সম্ভব নয়, তিনি সেটি বাতিল ঘোষণা করতে পারবেন। কমিশন তার সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছি। মনে রাখতে হবে, এ নির্বাচনের ব্যয় জনগণের অর্থে পরিচালিত হচ্ছে। তাই এক পয়সাও যেন অপচয় না হয়, সে দায়িত্ব আমাদের সবার।
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, এবারের নির্বাচনে কোনো পোস্টার থাকবে না। ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল প্রচারণা পদ্ধতির মাধ্যমে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় থাকবে।
বিজ্ঞাপন
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার, উপ-প্রধান মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান এবং কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার হামিদ।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, গলাচিপা, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, বাউফল, দুমকি ও রাঙ্গাবালীসহ আট উপজেলার ৬০ জন সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তা এ কর্মশালায় অংশ নেন।








