নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পে কমিশন

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিভিন্ন সমিতি ও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মতবিনিময় সম্পন্ন করেছে পে কমিশন। এখন সংগঠনগুলোর মতামত পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ চলছে।
বিজ্ঞাপন
গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি সংগঠনের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় শেষে কমিশনের সদস্যরা জানান, শিগগিরই সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারে জমা দেওয়া হবে। তবে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার নির্দিষ্ট তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, অনলাইনের মাধ্যমে দুই হাজারের বেশি সংগঠন নতুন পে স্কেল বিষয়ে তাদের মতামত জমা দিয়েছে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ২৫০ থেকে ৩০০টি সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করা হয়েছে। সংগঠন বেশি হওয়ায় কমিশনের সদস্যরা তিনটি দলে ভাগ হয়ে মতবিনিময়ে অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
পে কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান সরকার বলেন, মতামত নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে ১৫ অক্টোবর, আর সমিতিগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শেষ হয়েছে ৩০ অক্টোবর। এখন আমরা চূড়ান্ত সুপারিশের দিকে যাচ্ছি।
কমিশনের একাধিক সদস্যের মতে, নতুন বেতন কাঠামোর মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে বেতন বৈষম্য কমানো। এজন্য বিদ্যমান গ্রেড কাঠামো পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এক সদস্য বলেন, বৈষম্য কমাতে গ্রেড সংখ্যা হ্রাস করা হবে, এটি নিশ্চিত। তবে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত কী হবে, তা চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সময় জানা যাবে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে। কমিশন গঠনের সময়ই সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই লক্ষ্যেই দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।








